গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি হামলায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নিন্দা

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি হামলায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নিন্দা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ব্যাংকের অর্থ লোপাট ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ই জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে ক্ষুণ্ন করে জনগণসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।

আর সেটিরই আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটলো আজ গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আহত করা ও একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। এ দেশে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা এখন আরও বেশি চরম হুমকির মুখে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আওয়ামী অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে এখন পরাধীন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে সাধারণ মানুষ কোথাও আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। তবে জনগণের শক্তির কাছে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে অচিরেই মাথানত করতে হবে।

বিবৃতিতে পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি সহ আহত নেতৃবৃন্দের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং গ্রেপ্তারকৃত নেতার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

এবি পার্টির নিন্দা
এদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে বিনা পুলিশি হামলার  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবি পার্টি। পুলিশি হামলায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ায় এবি পার্টি দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, যখন জনগণের বন্ধু ঘোষণা দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ পালন করছে সেই সময়ে মানুষের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে  প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়ে পুলিশ নিজেদেরকে আবারও প্রমাণ করেছে তারা মূলত স্বৈরাচারের লাঠিয়াল ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনগণের শত্রু। এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ  অবিলম্বে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার এবং গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।
গণঅধিকারের নিন্দা
ওদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে পুলিশি বাঁধা, হামলা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন। বিবৃতিতে তারা বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল-২ কায়েম করার জন্য বিরোধীদলসমূহের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রতিনিয়ত বাধা দিয়ে আসছে এবং পুলিশ দিয়ে হামলা ও গ্রেফতার করাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জনজীবনে যেখানে নাভিশ্বাস উঠেছে, মানুষ ঠিক মতো চলতে পারছে না,  ব্যাংক থেকে প্রতিনিয়ত টাকা লোপাট করা হচ্ছে। সেখানে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে কন্ঠরুদ্ধ করা হচ্ছে। আজকে গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছিলো। মঞ্চের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা, হামলা ও গ্রেফতার অন্যায্য ও অন্যায়। গণঅধিকার পরিষদ অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করছে। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান করবো, আর কত দমন-পীড়ন মুখ বুঝে সহ্য করবেন? রাজপথে নেমে আসুন, গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এই অবৈধ সরকারের অন্যায়- অবিচারের জবাব দেওয়া হবে।