পায়ুপথ দিয়ে বের হলো আড়াই হাজার ইয়াবা

আটককৃতরা হলেন, বিপ্লব হোসেন (৪০) সদর উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর এলাকার জহির হোসেনের ছেলে, বায়েজিদ (২৮) হোসেন রাজৈর উপজেলার সুতারকান্দি এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে।

পায়ুপথ দিয়ে বের হলো আড়াই হাজার ইয়াবা

প্রথম নিউজ, মাদারীপুর: অভিনব কায়দায় পেটের ভেতরে নিয়ে ইয়াবা পাচারের সময় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে মাদারীপুর র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার অধিনায়ক এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানন। এর আগে রোববার বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে মাদারীপুর সদর উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে ২ হাজার ৪শ ১৫ পিচ ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন, বিপ্লব হোসেন (৪০) সদর উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর এলাকার জহির হোসেনের ছেলে, বায়েজিদ (২৮) হোসেন রাজৈর উপজেলার সুতারকান্দি এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার  মো. মুহতাসিম রসুল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাদারীপুরের একজন ইয়াবা পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে অভিনব কৌশলে নিজের শরীরে প্রবেশ করিয়ে ইয়াবা পাচার করে আসছে। তারা টেকনাফ থেকে অভিনব কায়দায় পেটের মধ্যে করে ইয়াবার চালান করার জন্য মাদারীপুরে আসবে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুরের চর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাব। পরে প্রাথমিকভাবে মাদকের বিষয়টি অস্বীকার করলে তাদেরকে আটক করা হয়। মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে এক্সরে করার কথা জানান। সেখানে নিয়ে এক্স-রে করে দেখা যায় তার পেটের ভিতর অসংখ্য ডিম্বাকৃতির বস্তু রয়েছে। পরবর্তীতে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত তারা স্বীকার করে যে তার পেটের ভিতর লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ৪১টি ইয়াবার পোটলা রয়েছে যাতে মোট ২ হাজার ৪১৫ পিস ইয়াবা রয়েছে। এছাড়া তাদের কাজ থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন ও দুইটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

সে আরও স্বীকার করে যে, চট্টগ্রামের টেকনাফ এলাকা এই ইয়াবার পোটলাগুলো সে খাবারের সঙ্গে গিলে খায় এবং পরবর্তীতে কলা এবং পাউরুটি খেয়ে সেই পোটলাগুলো পায়ু পথ দিয়ে বের করে। তাকে কলা এবং পাউরুটি খাওয়ানোর পর হাসপাতালের টয়লেটে নিয়ে তার পায়ু পথ দিয়ে লাল টেপ মোড়ানো ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির ৪১টি পোটলা বের করানো হয়।  মাদারীপুর র‍্যাব-৮ কমান্ডার অধিনায়ক তিনি আরো বলেন, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে অভিনব কৌশলে মাদারীপুর, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে মাদারীপুর  সদর মডেল থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।