বেইজিংয়ে হাসপাতালে আগুন লেগে ২৯ জনের মৃত্যু

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: চীনের রাজধানী বেইজিং-এর একটি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। এতে এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন রোগি। মঙ্গলবার স্থানীয় দুপুর বেলা চ্যাংফেং হাসপাতালে আগুন লাগে। এরপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। একটি ফোনের মাধ্যমে তাদের কাছে খবর পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে বহু রোগীকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ২৯ জনকে বাঁচানো যায়নি। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা এখনো তল্লাশি চালাচ্ছেন। ভিতরে কোনো রোগী আটকে আছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি জানার পরই বিবৃতি দেবে কর্তৃপক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধোঁয়ায় ভরে গেছে হাসপাতালের ভিতর। রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বিছানার চাদর বেয়ে জানালা দিয়ে নামার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ জানলার বাইরে লাগানো এসি-র উপর আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও রোগিদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অনেকেই অসুস্থতার কারণে সময় মতো পালাতে পারেননি।
বিবিসির খবরে জানানো হয়, আগুন লাগার ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। একজন আত্মীয় চায়না ইয়ুথ ডেইলিকে বলেছেন, সাত বা আট ঘন্টা কেটে গেছে অথচ আমাকে কল করেও জানানো হয়নি। অনেকে বলেছেন যে, তারা প্রিয়জনকে সনাক্ত করার চেষ্টা করে রাত কাটিয়েছে। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের এখন চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে চীন। আটককৃতদের মধ্যে আছেন হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের পাশাপাশি সংস্কার কাজ তদারকিকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানও।
চীনের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে আগুন লাগার পর হাসপাতাল থেকে ৭০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন লাগার এক ঘণ্টার মধ্যেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু তারপরেও চ্যাংফেং হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তাদের স্বজনরা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার ওপর ক্ষিপ্ত। তারা বলেছে আট ঘণ্টা পরেও হাসপাতালের কর্মকর্তারা আহত বা মারা গেছেন তাদের নাম জানাতে পারেনি। একজন আত্মীয় স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, শুধু আমাকে বলুন রোগীটি মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে! হাসপাতালের বেশিরভাগ রোগী বয়স্ক ছিলেন। কেউ কেউ অঙ্গচ্ছেদ অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়েছিলেন। ফলে তারা পালাতে পারেন নি।