‘বন্দে ভারত’ ট্রেনে পাথর পশ্চিমবঙ্গে নয়, ছোড়া হয়েছে বিহারে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘ভারতীয় রেলের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনটি যখন বিহারের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেটির ওপরে পাথর ছোড়া হয়।
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া ও শিলিগুড়ির মধ্যে দ্রুতগামী ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন চালু হয়েছিল। কিন্তু চালুর এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার পাথরের আঘাতে ট্রেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একাধিক নেতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ট্রেনটির ক্ষতি করা হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ট্রেনের ওপর কোনো পাথর ছোড়া হয়নি। পাথর ছোড়া হয়েছে বিহারে।
এক বিবৃতিতে মমতা বলেছেন, ‘ভারতীয় রেলের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনটি যখন বিহারের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেটির ওপরে পাথর ছোড়া হয়। এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটেনি। বিহারের মানুষ হয়তো রেগে আছেন। কারণ, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তাঁদের রাজ্যে দেওয়া হয়নি। তবে অল্প কিছু মানুষ ক্ষুব্ধ হলে সে জন্য গোটা বিহার রাজ্যের মানুষকে দায়ী করা উচিত নয়।’ ট্রেনে পাথর ছোড়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ কাশ্মীরে পরিণত হচ্ছে।’
দিলীপ ঘোষের কথার অর্থ, কাশ্মীরের মতো পশ্চিমবঙ্গে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, কাশ্মীর বর্তমানে শুধরে গিয়েছে, কিন্তু বাংলা ক্রমশ কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে দেশবিরোধী শক্তি অত্যন্ত সক্রিয় এবং এখানকার সরকার সেই শক্তিকে মদদ দিচ্ছে। ভারতের সংসদে যখন নাগরিকত্ব আইন পাস হয়, তখন অনেক রাজ্যেই এর বিরোধিতা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তিন দিন ধরে গন্ডগোল হয়েছে। এতে আড়াই শ কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ছিল রেলের সম্পত্তি। দেশের সম্পত্তিকে এই রাজ্যের একাংশ শত্রুর সম্পত্তি মনে করতে শুরু করেছে। এরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক।’
এ ছাড়া বিজেপির একাধিক নেতা ট্রেনে পাথর ছোড়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজনৈতিক আক্রমণ করেন। মূলত সে কারণেই আজ বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে মমতা জানালেন, ট্রেনটির ক্ষতি পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে করা হয়নি। তবে তিনি এ–ও বলেন, বিহারের মানুষেরও ‘বন্দে ভারত’–এর মতো একটি ট্রেন পাওয়া উচিত।
মমতা আরও বলেন, ‘শুধু ক্ষমতায় নেই বলে বিজেপি সেখানে (বিহারে) এ ধরনের ট্রেন দেবে না, এটা অনুচিত। তাদের প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়া উচিত নয়। তবে একই সঙ্গে এটাও বলব যে এই ট্রেনের (বন্দে ভারত) ইঞ্জিনটিই শুধু নতুন। বাকি বগির অনেকগুলোই বেশ পুরোনো। পুরোনো ট্রেনের ওপরে নতুন রং লাগিয়ে দিয়েছে। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বছরে শতাধিক নতুন ট্রেন চালু করতাম। আর গত ১১ বছরে বন্দে ভারত ছাড়া কোনো নতুন ট্রেন চালু হয়নি।’
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews






