মায়ানমারের ভূমিকম্প ৬০ ঘণ্টা পর ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার

মায়ানমারের ভূমিকম্প ৬০ ঘণ্টা পর ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর মায়ানমারে একটি স্কুল ভবনের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একজনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। এদিকে রবিবারও মান্দালয়ে আরেকটি ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এর আগে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর টানা তৃতীয় রাত ধরে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের উদ্ধারকারীরা ধ্বসংস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের জীবিত পাওয়ার আশায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে মায়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি জানান, প্রায় ৩ হাজার ৪০০ মানুষ আহত হয়েছেন এবং ৩০০ জন এখনো নিখোঁজ।

মান্দালয়ের উ হ্লা থেইন মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ জন ভিক্ষুকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং মোট ৫৮ জনকে জীবিত বের করে আনা হয়েছে।
তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনো প্রায় ২০০ জন ভিক্ষু সেখানে আটকা পড়ে আছেন।

দেশটির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত সাগাইং শহরে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনকে জীবিত ও ৮৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মান্দালয়ের পিয়াও বওয়ে টাউনশিপে ভবন ধসে ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে থাইল্যান্ডে তুলনামূলকভাবে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো পুরোদমে চলছে। ধসে পড়া বহুতল ভবনের জঞ্জাল সরিয়ে ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধারের কার্যক্রমও একই সঙ্গে চলছে। ব্যাংককজুড়ে অনেক ভবন পরিদর্শন করে দেখছে কর্তৃপক্ষ। শহরটিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮-তে। এর মধ্যে ১১ জনের মৃতদেহ বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে।
 

সূত্র : বিবিসি