হবিগঞ্জে জোড়া খুন: থমথমে কামারগাঁও গ্রাম, আটক ৫

আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে রোববার (১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

হবিগঞ্জে জোড়া খুন: থমথমে কামারগাঁও গ্রাম, আটক ৫

প্রথম নিউজ, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবলে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জোড়া খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে রোববার (১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এদিকে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী এবং ফারুক মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি মামলা মোকদ্দমাও আছে উভয়পক্ষের মধ্যে।

স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ মাতব্বররা একাধিকবার চেষ্টা করেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারেননি। অবশেষে উভয়পক্ষই পানি নিষ্কাশনের বিরোধপূর্ণ জমির অংশটুকু কিনে নিতে চায়। কেউ কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি নয়। স্থানীয় মাতব্বররা বার বার চেষ্টা করেও এর কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে। এর জেরে শনিবার রাতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে হাসান আলীর ছেলে উস্তার মিয়া (৩৭) ও চেরাগ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাদের সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাদের ঢাকা, সিলেট ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় উভয়পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের জাগো নিউজকে বলেন, আটক পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো কোনো পক্ষই মামলা করেনি।