ইউরোপা লিগ ইউনাইটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন টটেনহাম

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দীর্ঘ ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতেছে টটেনহাম হটস্পার। বুধবার রাতে স্পেনের বিলবাও শহরের সান মামেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারায় আরেক ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ২০০৮ সালের পর এটিই স্পার্সের প্রথম বড় কোনো শিরোপা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই খেলছিল সতর্কতা বজায় রেখে।
আক্রমণের তুলনায় রক্ষণ সামলাতেই বেশি মনোযোগী ছিল তারা। ফলে খেলার বড় একটা অংশ কাটে গোলের সুযোগ ছাড়াই। তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে কাঙ্ক্ষিত গোলে এগিয়ে যায় টটেনহাম।
৪২তম মিনিটে ডান দিক থেকে একটি ক্রস বাড়ান পাপে সার।
বলটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ব্রেনান জনসন। কিন্তু তার দৌড়ের গতির কারণে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শোর হাতে বল লেগে আবার জনসনের দিকেই ফিরে আসে। সেখান থেকে তিনি পায়ের সামান্য স্পর্শে বলটিকে জালে পাঠান। ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকনোর চেষ্টা করে ম্যানউই গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা।
গোলটি কিছুটা ভাগ্যের সহায়তায় হলেও সেটিই শেষ পর্যন্ত ফাইনালের শিরোপা নির্ধারণী গোল হয়ে ওঠে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার লক্ষ্যে আক্রমণের গতি বাড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে তেমন কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। বরং স্পার্স গোলরক্ষক গুলিয়েলমো ভিকারিও একটি সহজ বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হলে সুযোগ চলে আসে রাসমুস হইলুন্ডের সামনে। তিনি হেড করলে বল প্রায় গোললাইন অতিক্রম করতে যাচ্ছিল, কিন্তু ঠিক তখনই ডিফেন্ডার মিকি ভ্যান ডে ভেন দুর্দান্ত এক ক্লিয়ারেন্সে বল ফিরিয়ে এনে রক্ষা করেন দলকে নিশ্চিত সমতাসূচক গোল থেকে।
৭১ মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোকে মাঠে নামিয়ে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে ইউনাইটেড। এর পরের মিনিটেসতীর্থের ক্রসে বক্সে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রুনো ফার্নান্দেস। দুই মিনিট পর গার্নাচোর নিচু শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন স্পার্স গোলরক্ষক ভিকারিও। লুক শর একটি শটও ঠেকান তিনি। শেষ পর্যন্ত কোনো গোল শোধ দিতে না পারায় হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড। আর শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে শিরোপা নিশ্চিত করে স্পার্সরা।
এই জয়ে জনসন টটেনহামের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন। ১৭ বছর পর প্রথম স্পার্স খেলোয়াড় হিসেবে কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে গোল করেছেন তিনি। ২০০৮ সালে জোনাথন উডগেট চেলসির বিপক্ষে জয়সূচক গোল করেছিলেন।
১
স্পার্সের জন্য এটি ইউরোপা লিগে তৃতীয় শিরোপা। তারা আগেরবার ট্রফি জিতেছিল ১৯৭১–৭২ এবং ১৯৮৩–৮৪ মৌসুমে, তখন টুর্নামেন্টটির নাম ছিল ইউরোপিয়ান ইউইএফএ কাপ। এই জয়ের মাধ্যমে তারা ইন্টার মিলান, লিভারপুল, জুভেন্টাস এবং অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী ক্লাব। শুধুমাত্র সেভিয়া (৭ বার) তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।।