ইবিতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় ইডেন ছাত্রী আটক

সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক থেকে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

ইবিতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় ইডেন ছাত্রী আটক
ইবিতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় ইডেন ছাত্রী আটক

প্রথম নিউজ, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এসে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছেন ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজের এক ছাত্রী।  তিনি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর ডাকে তিনি ক্যাম্পাসে আসেন বলে জানান ওই ছাত্রী। ওই ছাত্র লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক থেকে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।  এ ঘটনায় উভয়ের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছাত্রীকে অভিভাবকের জিম্মায় এবং ছাত্রকে বিভাগীয় সভাপতির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  ছাত্রকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, দুজনের মধ্যে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। ছাত্রের বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইডেন কলেজের ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতা করেন। ওই ছাত্রী সম্প্রতি ইডেন কলেজ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান গুচ্ছ ভর্তি সংক্রান্ত কাজে। পরে ছাত্রের ডাকে গত ৪ মার্চ ইবি ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই মেয়েকে বিভাগের এক ছোটবোনের কাছে বান্ধবী পরিচয়ে  রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় লেকে তারা আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাদের চলে যেতে বললেও যাননি। বিষয়টা গুরুতর দেখে নিরাপত্তাকর্মীকে জানায় শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তাদের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সেলীনা নাসরীন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর শাহেদ আহমেদ, শাহবুব আলম, জয়শ্রী সেন ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেলিম উদ্দীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা ড. আমজাদ হোসেন বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তার ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। পরে মেয়েকে তার অবিভাবকের সাথে কথা বলে তাদের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়েছে। আর ছেলেকে তার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সেলীনা নাসরীন বলেন, ছেলে-মেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে মেয়েকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ছেলেসহ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: