ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ ১ বছর বাড়াতে চায় ইসি
সামনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করতে এবং যন্ত্রটি সংরক্ষণের জন্য মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইসি কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক।

প্রথম নিউজ, অনলাইন: চলমান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সামনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করতে এবং যন্ত্রটি সংরক্ষণের জন্য মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইসি কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক। এ জন্য ব্যয় বৃদ্ধি না করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার ইসি সচিবের সভাপতিত্বে এটি নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়। তবে সে সময় প্রস্তুতি না থাকায় মাত্র ছয়টি আসনে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে ওই মেশিনগুলো দিয়েই স্থানীয় নির্বাচনগুলো ও উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করেছে ইসি। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সবগুলো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে আসছে। আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও যন্ত্রটি ব্যবহার করা হবে।
এ ছাড়া আগামীতে হতে যাওয়া স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও ইভিএম ব্যবহার করতে চায় বর্তমান কমিশন। এজন্য চলতি বছরের জুনে শেষ হতে যাওয়া এই প্রকল্পটির মেয়াদ ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে এক বছর বাড়াতে চায় তারা।
প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ মানবজমিনকে বলেন, “আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পাঠাবো। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যদি সম্মতি দেয় তাহলে চলমান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়বে। তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু নির্বাচন হচ্ছে, এগুলো ইভিএমের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এদিকে সামনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো ইভিএমের মাধ্যমে করতে হলে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ইভিএম সংরক্ষণের বিষয়টি এখনো শেষ হয়নি। এ জন্য মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, “সামনের নির্বাচন ও ইভিএম সংরক্ষণ করতে হলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য আজ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। সেখানে একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত ইসি সচিবালয় নেবে বলে জানান তিনি।