ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে: টুকু
সমস্ত বাংলাদেশকে কারাগারে পরিনত করছে সরকার

প্রথম নিউজ, টাঙ্গাইল: বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর হুশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
তিনি বলেন, সমস্ত বাংলাদেশকে কারাগারে পরিনত করছে সরকার। আজকে মানুষের অধিকার নেই, কথা বলেতে পারে না। মানুষের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শহীদ জিয়া ভোটের যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল আজকের সরকার তা ভুলণ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ রাজনীতি করার পরিবেশ এই সরকার বিনষ্ট করেছে এই ভোটারবিহীন সরকার। কাজেই আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোটরবিহীন সরকাররের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে শহীদ জিয়ার সৈনিকদের। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলে টাঙ্গাইলের সন্তোষ মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সহধর্মিনী বেগম আলেমা খাতুন ভাসানীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মহাফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়ে তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। মজলুম, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্র। রাজনীতি উপহার দিয়েছেন। লংমার্চ হয়েছিল মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে। নেপথ্য কাজ করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মখে পড়েছে। মানুষ যে আকাঙ্কা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল রক্ত দিয়ে, মা বোনের ইজ্জতের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা আজকে হুমকির মুখে পড়েছে। হায়েনা, মিডনাইট, তাবেদার সরকারের কারনে। নির্যাতন কারী ও বাকশালী সরকারের কারনে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। কারন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলেছেন সেজন্য বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মামলা। সেই ২ কোটি টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে । এখন ৮ কোটি টাকা হয়েছে। তারপরেও রাজনৈতিক কারনে সাজা দিয়েছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা লুন্ঠনকারীরা জামিন পাচ্ছেন। মুক্ত বিহঙ্গের মতো দুর্নীতি করেই যাচ্ছে তারা। সেদিকে খেয়াল নেই।
স্মরণ সভায় টুকু বলেন, সরকারী দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতির কারনে স্বাস্থ্যখাতে চরম নিম্নজিত। মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে করোনা কালে মানুষের পাশে আমরা দাড়িয়েছি। বিএনপি মানুষের জন্য রাজনীতি করে মেহনতি মানুষের পক্ষে থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকে। বিএনপি কখনও মানুষের উপর নির্যাতন চালায়নি।
স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু পরিচালনা করেন নুরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, সহ-সভাপতি এডভোকেট আলী ইমাম তপন, জিয়াউল হক শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, আনিসুর রহমান, খন্দকার রাশেদুল আলম সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলি, শফিকুর রহমান খান শফিক, দপ্তর সম্পাদক মির্জা শাহিন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews