'ওটা একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র', জাতিসংঘে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনায় ভারত

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে পাকিস্তানকে তীব্রভাবে আক্রমণ করলো ভারত। একইসঙ্গে তারা জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানের অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন এবং বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, পাকিস্তান কাউকে বক্তৃতা দেওয়ার মতো অবস্থানে নেই। তাদের গোটা বক্তব্যই ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ।
কূটনীতিক ক্ষিতিজ ত্যাগীর কথায়, ‘পাকিস্তানের ভিত্তিহীন এবং বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারতের পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে। পাকিস্তানের তথাকথিত নেতা এবং প্রতিনিধিরা তাদের সামরিক-সন্ত্রাসী চক্রের মিথ্যাচার দায়িত্ব নিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, এটা দুঃখজনক। পাকিস্তানের গোটা বক্তব্য ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ। দেশটি অমানবিক কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্য শাসনব্যবস্থার উদাহরণ। ভারত গণতন্ত্র, অগ্রগতি এবং তার জনগণের মর্যাদা নিশ্চিত করার উপর মনোযোগী- যে মূল্যবোধগুলো থেকে পাকিস্তানের শিক্ষা নেয়া উচিত।’
ত্যাগী পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাই থাকবে। এই অঞ্চলে পাকিস্তানের অস্থিরতার দাবির বিরোধিতা করে তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলগুলোতে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। ত্যাগী বলেন যে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ। পাকিস্তান নির্লজ্জভাবে জাতিসংঘ-অনুমোদিত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে কাউকে বক্তৃতা দেয়ার অবস্থানে নেই পাকিস্তান, এমনটাই মনে করেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। এর আগে, পাকিস্তানের আইন ও বিচারমন্ত্রী আজম নাজির তারার ফোরামে বক্তব্য রাখেন এবং দাবি করেন যে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।তারার দাবি করেন, কাশ্মীরে জাতিসংঘের সনদ, প্রস্তাব এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে।