খুলনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীতে বিএনপি’র পদযাত্রা অনুষ্ঠিত

প্রথম নিউজ, খুলনা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রীরা একেক সময় একেক কথা বলছে। সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। আগামীতে আবারো সাজানো পাতানো নির্বাচন করার জন্য সরকার প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে। কাউকে কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিচ্ছে কিন্তু সে গুড়ে বালি উল্লেখ করে বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অধীনের আর কোন নির্বাচন হবে না, দেশের জনগণের দাবির মুখে ও আর্ন্তজাতিক চাপে সরকার পালানোর পথ খটুজছে। তারা বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েও হালে পানি পায়নি। বিগত ১৫ বছরে যে সকল হত্যা, গুম, খুন হয়েছে তার বিচার এদেশের মাটিতেই হবে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে খুলনায় পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হেলাল আরো বলেন, এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়। আলেম ওলামারাও নিরাপদ নয়। বরিশালে একজন আলেমের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি পুলিশ প্রশাসনের উদ্দ্যেশে বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারি। বাংলাদেশের সংবিধানের ওপর আপনাদের শপথ আছে কিন্তু কোন ফ্যাসিবাদি সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে নির্বিচারের বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর পরিণাম ভালো হবে না। পতন নিশ্চিত একটি সরকারের হয়ে খুলনার পুলিশ প্রশাসন যা করছেন তা মোটেই কাম্য নয়।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ১৯৭৫ সালের এইদিনে তৎকালিন বাকশাল সরকার বাংলাদেশের ৪টি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা রেখে দেশের সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অবৈধ সরকার দেশেকে আবারো পুর্বের বাকশালীপন্থায় পরিচালনা করতে চাচ্ছে কিন্তু এদেশের মানুষ সে সুযোগ আর দিবে না। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচি আসলেই পুলিশ আমাদের রুট নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু আগামীতে আর কোন কর্মসূচি পুলিশের নির্ধারিত রুটে পালিত হবে না। কর্মসূচি পালন হবে বিএনপির নির্ধারিত রুটে।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ রহমান মফিজ, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবীর, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, কে এম হুমায়ূন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, আবু মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, ডা. গাজী আব্দুল হক, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চৌধুরী কাওসার আলী, আ. রাজ্জাক, এড. মোমরেজুল ইসলাম, আবদুল মজিদ, খাইরুল ইসলাম খান জনি, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সুলতান মাহমুদ, এড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজির উদ্দিন নান্নু, নাজমুস সাকিব পিন্টু, এড. মোঃ আলী বাবু, আরিফুর রহমান. খন্দকার ফারুক, শেখ জামাল উদ্দিন, রবিউল হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, গাজী আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, নাসির খান, সরদার আব্দুল মালেক, আব্দুস সালাম, রাহাত আলী লাচ্চু, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রহমান ডিনো, ফারুক হোসেন হিলটন, শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, সামসল বারীক পান্না, আজিজা খানম এলিজা, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফ্ফার হোসেন, জাবেদ মল্লিক, হাবীবুর রহমান, আবু হোসেন, আলীম রেজা, মোস্তফা মোড়ল, তুষার কান্তি মন্ডল, আল আমিন সানা। যুবদলের নেহিমুল হক নেহিম, এবাদুল হক রুবায়েত, আবদুল্লা হেল কাফি সখা, আব্দুল আজিজ সুমন, মোল্লা আইয়ুব হোসেন, জাবির আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, মুন্তাসির আল মামুন, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজিব, শেখ আবু সাঈদ, মহিলাদলের এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা সুলতানা, শ্রমিকদলের উজ্জাল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ, জাসাসের ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, আজাদ আমিন, ছাত্রদলের ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন প্রমুখ।
সমাবেশ শুরুর আগে মহানগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে যোগদান করেন। পদযাত্রা চলাকালে বিভিন্ন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে খুলনাবাসী করতালির মাধ্যমে পদযাত্রার প্রতি সর্মথন জানান।
সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ।