গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই আরো এগিয়ে নিবো: মির্জা ফখরুল

৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই আরো এগিয়ে নিবো: মির্জা ফখরুল
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা

প্রথম নিউজ, ঢাকা:  ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালের এদিনে দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্ত করে নতুনভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এজন্যই এদিনটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাতপর্য্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বর শুধু একটা দিবস নয়, এটা ছিলো ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ করেছিলো সেই যুদ্ধের ফলে অর্জিত যে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংহত করবার দিন ছিল। বাংলাদেশের শত্রুদেরকে পরাজিত করে সেদিন দেশপ্রেমিক সৈনিক-জনতা পুনরায় স্বাধীনতাতে উজ্জীবিত হয়ে দেশকে রক্ষা করবার শপথ গ্রহন করেছিল। আজকে এদিনে আমাদের শপথ হচ্ছে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে লড়াই আমরা করছি সেই লড়াইকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবো। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং একই সঙ্গে সমগ্র দেশের মানুষকে মুক্ত করে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব।

তিনি বলেন, আমরা আজো বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য ও অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছি। আমাদের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মামলা থেকে মুক্তি এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইকে আমরা আরো এগিয়ে নিবো। আজকের দিনে আমাদের শপথ দেশনেত্রীকে মুক্তি, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনবো। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো। এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো। 

  

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনা প্রধানের দায়িত্ব আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়াউর রহমান হন গৃহবন্দী। ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন জিয়াউর রহমান।

 

জিয়াউর রহমানের এই শ্রদ্ধা নিবেদনের এই অনুষ্ঠানে দলের  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মো: আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিবখায়রুল কবির খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সেলিম রেজা হাবিব,  ফজলুল হক মিলন, বিএনপির শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি,  ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, আমিনুল ইসলাম সহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে একে একে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, কৃষকদল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ইউট্যাব, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এমট্যাব সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক সর্দার মো: নুরুজ্জামান, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান,  মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, সদস্য সচিব মো: আব্দুর রহিম,  কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন,  ওলামা দলের আহবায়ক শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, জাসাসের সভাপতি হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু,  ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো: আব্দুস সালাম,  ইউট্যাবের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, রাশেদ ইকবাল খান, আবু আফসান মো: ইয়াহিয়াসহ হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  

পরে নেতাকর্মীরা শহীদ নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেয়। ৭ নভেম্বর উদযাপনে বিএনপি দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহন করেছে। ভোরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় অফিসে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিকাল তিনটায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হবে উন্মুক্ত আলোচনা সভা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom