চকরিয়ায় ২২ পরিবারের সম্পদ জবরদখলের চেষ্টা যুবলীগ নেতার

প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ২২ পরিবারের সম্পদ জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোজাফফর হোসেন পল্টু। তিনি চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। যেকোনো মুহূর্তে ওই যুবলীগ নেতা পল্টুর নেতৃত্বে জবরদখলসহ হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। পরিবারগুলোর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ৩নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক সফুর আলম।

লিখিত বক্তব্যে সফুর আলম বলেন, চকরিয়া পৌরসভার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী মৌজায় আমরা ২২ পরিবার স্থানীয় ডা. মোহাম্মদ হোছাইনের কাছ থেকে দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর আগে জমি কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি। এসব জমি ক্রয় করার সময় চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেওয়ায় ওই সময় আমাদের জমি জবরদখলের হুমকি দিয়েছিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় চাঁদাবাজি মামলাও করা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করে গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের জমি জবর দখলের প্রস্তুতি নেয় পল্টু। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের হস্তক্ষেপে তখন এটি বন্ধ হয়ে যায়। যুবলীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টুর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে চাঁদাবাজি, অপহরণ, প্রতারণাসহ নানা অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত পল্টুর বিরুদ্ধে ১২টি বিচারাধীন মামলার তথ্যও তুলে ধরা হয়। ভুক্তভোগী এসব পরিবার জবরদখল থেকে রেহাই পেতে মোজাফফর হোসেন পল্টুর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সফুর বলেন, চকরিয়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাটাখালীর বাসিন্দা নুরু মিস্ত্রির ছেলে অভিযুক্ত মোজাফফর হোসেন পল্টু নির্দিষ্ট কোনো পেশার সাথে নেই। জবরদখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমেই তার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌর এলাকার কুতুবউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী শাহানা বেগম, স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ আলম, মো. ইব্রাহিম, মো. ইলিয়াছ, মো. রায়হান, আনোয়ার হোসেন খোকন, ফোরকানুল ইসলাম প্রমুখ।