ডেঙ্গুতে ঝড়লো আরও ১৭ প্রাণ, হাসপাতালে ভর্তি ২০১৪

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ডেঙ্গুতে ঝড়লো আরও ১৭ প্রাণ, হাসপাতালে ভর্তি ২০১৪

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু ১ হাজার ২৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ১৪ জন। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৫ হাজার ৯৮৪ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ৭৬ জন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৩ হাজার ১০৮ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৫৫ হাজার ৯১ জন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে জনস্বাস্থ্যবিদরা যুগান্তরকে বলছেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় কীটতত্ত্ববিদ দরকার, পরীক্ষাগার দরকার। সারা দেশে তা নেই। মশা নিধনে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, তার মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল সব সময়। তৃতীয়ত, যে পদ্ধতিতে দেশে মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলে, তা বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকর এমন নিদর্শন তৈরি হয়নি। তারা আরও বলেন, সারা দেশে মশার সঙ্গে ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়েছে। মশা ও ডেঙ্গু দুই-ই নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।