ঢাকায় দু’দিনের সফরে বৃটেনের ফরেন সেক্রেটারি
কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ঢাকা সফর করছেন বৃটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন। দু’দিনের সফরে সোমবার তিনি ঢাকায় পৌঁছান। আজ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগে অংশ নেবেন তিনি। সংলাপে রাজনীতি, অর্থনীতি তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার গ্যারান্টিসহ সব দলের অংশগ্রহণে অত্যাসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কথা হবে। নির্বাচনে যেন কোনোরকম সহিংসতা না হয়, যা বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে সেটাই চায় বৃটেন।
বাংলাদেশের সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলোচনা করছেন বৃটেনের প্রতিনিধিরা। এদিকে বৃটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টনের সফরের বিষয়ে হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগেই জানানো হয়, সফরে স্যার ফিলিপের প্রধান লক্ষ্য পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপ, যাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভাপতিত্ব করবেন। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার যে অঙ্গীকার, এই কৌশলগত সংলাপ তাকেই প্রতিফলিত করে।
এই সংলাপে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক; অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্ব; এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে এই সংলাপ দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কপ-২৮ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করবে। যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরবে। ঢাকায় সফরকালে পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী ও তরুণ নেতৃত্বের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
স্যার ফিলিপ রবার্ট বার্টন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি। পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি হলো এফসিডিও-এর সবচেয়ে সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকের পদ। পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে স্যার ফিলিপের এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিনি ২০০৮ সালে এফসিও’র ডিরেক্টর, সাউথ এশিয়া পদে থাকাকালীন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।