তিস্তার পানিতে গঙ্গাচড়া-কাউনিয়ার ৪০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি
পানি বেড়ে যাওয়ায় মাইকিং করে পানিবন্দি মানুষকে বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে

প্রথম নিউজ,রংপুর: অবিরাম বৃষ্টি আর ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কাউনিয়া উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের ১০টি গ্রামের মানুষও কোমর সমান পানিতে ডুবে আছেন। ওইসব গ্রাামের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি রাত পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।
গঙ্গাচড়া পয়েন্টে এখন বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ, মর্নেয়া, লক্ষ্মিটারি, আলমবিদিতর, নোহালী গজঘণ্টা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে এখনও হাটু থেকে কোমড় পরিমাণ পানিতে তলিয়ে আছে। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার বাড়ি ছেড়ে তিস্তা নদী রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা বেগম জানান, রাতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মাইকিং করে পানিবন্দি মানুষকে বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আশার কথা সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ডালিয়া ও গঙ্গাচড়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব।
কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বাড়ায় উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের ১০টি গ্রাম কোমর পানি পর্যন্ত তলিয়ে গেছে। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাহাবুল ইসলাম জানান, হঠাৎ তিস্তার পানিতে অন্তত ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ঢুস মারার চরের, কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে চরের সবকিছু। পানিবন্দি মানুষকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: