দেশে দূর্ভিক্ষের পূর্বাভাস দেয়ার সাথে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল: দুদু
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) খুলনায় বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলেল কেন্দ্রীয় নেতা দুদু এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, খুলনা প্রতিনিধি: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অচিরেই দেশে দূর্ভিক্ষ হবে। সেদিন তার কথা কেউ আস্থায় নিতে পারেনি। এখন দেশে সব জিনিসের দাম এতোটাই বেড়েছে যে দূর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তার কথাই সত্যে পরিণত হতে চলেছে। দূর্ভিক্ষ সমাসীন, এই কারণে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল।
বাংলাদেশের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব দরকার মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের জনগন সেই নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর একটি কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমেই কেবল সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। দেশ আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) খুলনায় বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলেল কেন্দ্রীয় নেতা দুদু এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ¦গতিতে জনজীবনে নাভিশ^াস সৃষ্টি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগ, তত্ত¡াবধায়ক সরকার সহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করা হয় । বিকেল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় কর্মসূচির শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ শিহাব।
প্রধান অতিথি দুদু বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমিন সাহেব আমেরিকা থেকে বৈঠক করে দেশে ফিরেছেন। সেখান থেকে তিনি টাইট খেয়ে ফিরেছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমেরিকা যে কোন দেশের সরকার ব্যবস্থাকে ওলট পালট করে দিতে পারে। এই সরকারের পাশে এখন কেউ নাই। আমেরিকা, ইউরোপিয় ইউনিয়নের পর এখন ভারত পর্যন্ত বলছে তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। দেশের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, মজলুম জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে ছাড়া এদেশকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবির, আশরাফুল আলম খান নান্নু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, মেজবাউল আলম, এনামুল হক সজল, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, ডাঃ আব্দুল মজিদ, খাযরুল ইসলাম খান জনি, আব্দুস সাত্তার, মুরশিদ কামাল, ইলিয়াস মল্লিক, কে এম হুমায়ুন কবির, মোঃ হাফিজুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, আনিসুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, সুলতান মাহমুদ, একরামুল কবির মিল্টন, মনিরুজ্জামান লেলিন, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, নাজমুস সাকির পিন্টু, শেখ ইমাম হোসেন, খন্দকার ফারুক হোসেন, সরোয়ার হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সরদার আব্দুল মালেক, আব্দুস সালাম, রাহাত আলী লাচ্চু, আব্দুর রহমান ডিনো, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারিক পান্না, মুজিবর রহমান, মোল্লা সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েদ, নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, আব্দুল আজিজ সুমন, মোঃজাবির আলী, শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রুনু, আনোয়ার হোসেন আনো, মোল্লা কবির হোসেন, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড, কানিজ ফাতেমা আমিন, মুজিবর রহমান, উজ্জল কুমার সাহা, শফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, আজাদ আমিন, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ^াস প্রমুখ।






