নেই বেচাকেনা, পশু নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বিক্রেতারা

নেই বেচাকেনা, পশু নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বিক্রেতারা

প্রথম নিউজ, ঢাকা : ফরিদপুর থেকে আসা ব্যাপারী গোলাম মওলা বলেন, আমি ১৭টা গরু নিয়ে আসছি, বিক্রি করতে পেরেছি পাঁচটা। বড় গরুগুলা আছে। কাস্টমার এখন কম, বিকেল বেলা বাড়বে। পছন্দ মতো দামে কী আর বেচা হয়? চালানের থেকে আরও লসে বেচা লাগছে। প্রতিটা গরুতে ৩০-৪০ হাজার টাকা লস। আল্লাহ ভরসা, আল্লাহ যদি সব বিক্রি করায় তাহলে হবে, নাহলে আর কায়দা নাই।

কুষ্টিয়া থেকে আসা ব্যাপারী শিশির আহমেদ  বলেন, ১২টা গরু আনছি, একটাও বিক্রি হয়নি। হাটের অবস্থা খুবই খারাপ। বেচাকেনা একেবারেই হচ্ছে না। যে গরু কিনে আনছি ২ লাখ ২০ হাজারে, সেটার দাম বলে ১ লাখ ৮০ হাজার। এভাবে গরু বেচাকেনা হলে তো ব্যাপারী বাঁচবে না। বিক্রি না হলে অবশ্যই ফেরত নিয়ে যাবো। দেশেই আমার অনেক ভালো। আমাদের গ্রামে যেমন হাট থাকে তেমন হাটের দামও বলে না এখানে, এত কম। আমরা আসছি ৯ তারিখে, কিন্তু একটাও বিক্রি করতে পারিনি।

ফরিদপুর থেকে আসা আরেক ব্যাপারী মো. হাফেজ বলেন, ১৩টা গরু নিয়ে আসছি, এখন পর্যন্ত একটা গরু বিক্রি করতে পেরেছি। সবগুলা বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আজকেই সব বেচে ফলবো। কাস্টমার বিকেলে নামবে। আমার কাছে সব বড় গরু। গতকালও ভালো বেচাকেনা হয়েছে। আজকেও ভালো হবে আশা করি।পশু কিনতে আসা আনিসুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সকাল সকাল গরু কিনতে বের হলাম। কিন্তু ব্যাপারীরা তো দাম ছাড়ছে না। মনে করছে রাতে অনেক কাস্টমার হবে। আমি একটা গরুর দাম ১ লাখ ৩০ হাজার বলছি, তাও দেয় নায়। মনে হয় না এখন কিনতে পারবো। দেখি, রাতে আবার আসবো।

এদিকে গরুর পাশাপাশি খাসির দামও অনেক বেশি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ক্রেতারা। সবচেয়ে ছোট সাইজের খাসিও ১০ হাজার টাকার বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। আর বড় খাসির দাম লাখ টাকাও হাঁকছেন কেউ কেউ।এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এরমধ্যে সারুলিয়া স্থায়ী হাটসহ দক্ষিণ সিটিতে ১১টি এবং গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ উত্তর সিটিতে ৯টি হাট বসেছে। হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীসহ ইজারাদাররা।