ফ্রান্সে সহিংস হয়ে উঠছে আন্দোলন, সফর স্থগিত করলেন বৃটেনের রাজা চার্লস
পার্লামেন্টকে এড়িয়ে নিজের ক্ষমতাবলে একটি বিতর্কিত বিল পাস করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। এ নিয়েই টানা বিক্ষোভ, সমাবেশ চলছে ফ্রান্সের বড় শহরগুলিতে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ফ্রান্সে চলমান সহিংস আন্দোলনের কারণে দেশটিতে নির্ধারিত সফর স্থগিত করেছেন বৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। পার্লামেন্টকে এড়িয়ে নিজের ক্ষমতাবলে একটি বিতর্কিত বিল পাস করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। এ নিয়েই টানা বিক্ষোভ, সমাবেশ চলছে ফ্রান্সের বড় শহরগুলিতে। রাজা চার্লসের ফ্রান্স সফর নিয়ে এ কারণে আগে থেকেই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন নিজেই রাজাকে সফর স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। রোববার থেকে এই সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের চলমান পরিস্থিতির কারণে রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলার তিন দিনের এই সফর স্থগিত করা হয়েছে। তাদের আশা অচিরেই রাজা তার এই সফরের উপযুক্ত সময় খুঁজে পাবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, এটিই হতে চলেছিল বৃটেনের রাজা হিসেবে চার্লসের প্রথম বিদেশ সফর। কিন্তু অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৪ করার প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে গোটা ফ্রান্স। তাও আবার পার্লামেন্টের ভোট এড়িয়ে পাস করছেন ম্যাক্রন। বিষয়টিকে অগণতান্ত্রিক মনে করছে ফ্রান্সের ডান-বাম দুই পক্ষই।
এদিকে ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠছে ফ্রান্সের এই আন্দোলন। গত জানুয়ারি থেকেই আলোচনায় আছে অবসরের বয়স বৃদ্ধির ইস্যুটি। তখন থেকে টানা আন্দোলন চলে আসলেও গত সপ্তাহে তীব্র আকার ধারণ করে এটি। রাজধানী প্যারিসসহ বড় শহরগুলোতে অগ্নিকাণ্ড একটি নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ভাঙচুরও চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বর্দো শহরের পৌর ভবনের বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার রাজা চার্লসের এই শহরেই যাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই দিন বিক্ষোভকারীরা সেখানে বড় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১১ লাখ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। শুধু প্যারিসে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। গত জানুয়ারিতে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটি ছিল রাজধানী শহরটিতে সবচেয়ে বড় জমায়েত। তবে দেশজুড়ে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন ৭ মার্চের বিক্ষোভে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওই দিন বিভিন্ন জায়গায় মোট প্রায় ১৩ লাখ মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ থেকে শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:






