বই কেটে কেন্দ্রে নকল সরবরাহের সময় শিক্ষকসহ আটক ১০
রোববার উপজেলার সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নকল সরবরাহ করার সময় পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
প্রথম নিউজ, বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে বই কেটে নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষকসহ ১০ জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলার আদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। রোববার উপজেলার সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নকল সরবরাহ করার সময় পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, আমতলী উপজেলার বালিয়াতলী দাখিল মাদ্রাসার সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক জামাল উদ্দিন ও জুনিয়র শিক্ষক (বাংলা) মো. মনোয়ার হোসেন, তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শিক্ষক মো. নাজমুল ও সহকারী শিক্ষক (গণিত) মোসা. ফাহিমা, অভিভাবক উপজেলার বড়ভাইজোড়া গ্রামের আবু বকরের স্ত্রী মোসা. ফজিলা, সুন্দরিয়া গ্রামের আঃ হাকিমের পুত্র মো. কামা জাকিরতবক গ্রামের মাসুম বিল্লাহর মেয়ে সাফা মনি, বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া গ্রামের মাহবুবের পুত্র শাহ নওয়াজ, বালিয়াতলী গ্রামের রফিক চৌকিদারে পুত্র ইয়ামিন, বালিয়াতলী গ্রামের নূর জামালের পুত্র মো. ওবায়দুল্লাহ।
জানা যায়, গণিত পরীক্ষা চলাকালে বেলা ১১টার দিকে সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা হারুন অর রশিদের বাসায় প্রশ্ন কপি করে উত্তর খুঁজে বের করেন কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক। এরপর সেই উত্তর বই থেকে কেটে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করেন। এমন সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গোপন সংবাদ পেয়ে ঐ বাসায় অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে শিক্ষক ও অভিবাবকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ওই কেন্দ্র সচিবের স্ত্রীও এতিম মঞ্জিলের শিক্ষক তিনি সহ বেশ কয়েকজন পালিয়ে যান।
ইউএনও সিফাত আনোয়ার বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের পাশেই একটি বাসা থেকে প্রশ্নের উত্তর ও বই কেটে নকল সরবরাহ করার সময় তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের সবার অনিয়মের বিষয়টা অনেক বেশি তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য নিয়মিত মামলা নেওয়ার জন্য থানায় বলা হয়েছে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল আদালতে প্রেরণ করা হবে।






