বিএনপির রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে: সমমনা জোট

প্রথম নিউজ, ঢাকা : জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। ২৮ অক্টোবর যে ঘটনা ঘটেছে তার একটা সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সমমনা জোট আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ এক দফা দাবি আদায়ে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিজয়নগরে আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে কালো পতাকা মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদুজ্জামান বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) অনতিবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে একটি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি যদি অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে বাতিল না করেন, পার্লামেন্ট বাতিল না করেন তাহলে এদেশের জনগণকে নিয়ে আমরা এমন আন্দোলন করবো, আপনি পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। আপনি দ্রুত নতুন একটি নির্বাচনের ঘোষণা করুন। আপনি দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবেন না। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার আহ্বান করছি।
তিনি আরও বলেন, বিচারপতির বাড়িতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী হামলা করেনি, হামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা। আমরা জাতিসংঘের অধীনে ২৮ অক্টোবরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের ভোটের অধিকার ক্ষুন্ন করছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করছে, এজন্য বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের সব নেতার বিচার হবে। ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছিল, এই নির্বাচন একটি ভুয়া নির্বাচন, ডামি নির্বাচন। এই নির্বাচনকে বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে। বাংলাদেশের সমস্ত ভোটারের ৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে যায়নি। এ নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ গঠন করা হয়েছে, সেটিকেও এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
সমাবেশে গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী বলেন, এই সরকারের অধীনে ডামি নির্বাচন দেশ ও বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃতি দেয়নি। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ করে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোট বর্জন করে জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখান করেছে। সরকার নিজেরা আসন ভাগাভাগি ও মারামারি করে করে নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া চেষ্টা করছে। সমঝোতা করে জাতীয় পার্টি নির্বাচন করেছে। তাই লাঙ্গল মার্কাও এই নির্বাচন নৌকা মার্কা। তাই নৌকা নৌকা খেলা আর বেশিদিন হতে দেওয়া যাবে না। পাশের একটি দেশের তত্ত্বাবধায়নে মামু ভাগ্নের নির্বাচন আমরা মানি না। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
সমাবেশে এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদ্য বেলাল হোসেন, এনডিপির মহাসচিব আবদুল্লাহ হারুন সোহেলসহ জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।