ব্রিটেনেও ভারতীয় ‘বিষাক্ত’ ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে কড়াকড়ি

দুটি ব্র্যান্ডের মশলায় বিপজ্জনক মাত্রায় কীটনাশক রয়েছে এই অভিযোগের পরে সমস্ত ভারতীয় মশলা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ব্রিটেনেও ভারতীয় ‘বিষাক্ত’ ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে কড়াকড়ি

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বৃটেনের ফুড ওয়াচডগ ভারত থেকে সমস্ত মশলা আমদানির উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করেছে। দুটি ব্র্যান্ডের মশলায় বিপজ্জনক মাত্রায় কীটনাশক রয়েছে এই অভিযোগের পরে সমস্ত ভারতীয় মশলা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গত কয়েকদিনে ভারতীয় মশলা নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশগুলো। বৃটেনের ফুড স্ট্যান্ডার্ডসের তরফে জানানো হয়, ‘বাজারে যেসমস্ত ভারতীয় মশলা বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

কারণ ভারতীয় মশলাতে  মাত্রাতিরিক্ত ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু বৃটেনে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যদি কোনও খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা যায়, তাহলে ওই খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের মানুষকে রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত।’

 যদিও ঠিক কী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি বৃটিশ সংস্থা। গত মাসে হংকং ভারতের এমডিএইচের তিনটি মশলা এবং এভারেস্টের একটি মশলার বিক্রয় স্থগিত করেছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়, এই পণ্যগুলোর মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কীটনাশক ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে।

এভারেস্ট মিক্স প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে সিঙ্গাপুরও। তবে নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া জানায়, তারা এই ব্র্যান্ড দুটির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখছে। এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি ব্র্যান্ড। তারা বলেছে, তাদের পণ্যগুলো ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সির খাদ্য নীতির ডেপুটি ডিরেক্টর জেমস কুপার রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এখানে ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহারের অনুমতি নেই এবং ভারতের মশলাগুলোর জন্য সেগুলি পাওয়া গেছে।’

ভারতের মসলা বোর্ড, যা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করে,  তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক, ভোক্তা এবং মশলা উৎপাদনকারী। ২০২২ সালে বৃটেন ১২৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মশলা আমদানি করেছিল, যার মধ্যে ভারতের ছিল প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার। এমডিএইচ এবং এভারেস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সহ অনেক অঞ্চলে তাদের পণ্য রপ্তানি করে। ভারতীয় নিয়ন্ত্রকরা সমস্ত মশলা পণ্যের পরীক্ষাও পরিচালনা করেছে।

এমডিএইচ এবং এভারেস্ট পণ্যগুলির নমুনা পরীক্ষা করেছে, যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। কানাডিয়ান খাদ্য পরিদর্শন সংস্থা রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে বলেছে যে, তারা এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্যগুলি সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়ে সচেতন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে । সূত্র : রয়টার্স