ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রথম নিউজ, অনলাইন:ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯১ সালের ২১মে (আজকের দিনে) ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রীপেরামবুদুরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বহু মানুষ রাজীব গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। 

১৯৯১ সালের এই দিনে তিনি তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে একটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় এলটিটিই-র একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন রাজীব।
তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভারতজুড়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।

ইন্দিরা গান্ধী ও ফিরোজ গান্ধীর জ্যৈষ্ঠ পুত্র ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির সাবেক সভাপতি এবং ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী প্রায়ত রাজীব গান্ধী।
ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কংগ্রেস আর গান্ধী পরিবারের নাম। 

জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী প্রত্যেকেই ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রেখেছেন অবিস্মরণীয় ভূমিকা। গান্ধী পরিবারের উজ্জল নক্ষত্র রাজীব গান্ধী তাদের অন্যতম।

১৯৪৪ সালে যখন তাঁর পিতা, মাতা উভয়েই প্রায়ই ইংরেজের কারারুদ্ধ হচ্ছিলেন তখন তাঁর জন্ম হয়।
১৯৬০ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হযে ফিরোজের মৃত্যু হয়। পিতার মৃত্যু কালের মধ্যেই গান্ধী, প্রাথমিক ভাবে বেসরকারী আবাসিক বিদ্যালয় ওয়েলহাম বয়েস স্কুল, ও পরে দ্য দুন স্কুলে চলে যান। ‘এ লেভেল’ স্তরের পড়া-শোনার জন্য ১৯৯১ সালে তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হয়। 

১৯৬২ সালে তিনি কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত রাজীব কেমব্রিজে ছিলেন এবং কোনো ডিগ্রী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় পরিত্যাগ করেন।
১৯৬৬ সালে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ পান এবং এক বছর পরে কোনো ডিগ্রী ছাড়াই তিনি ইম্পেরিয়াল কলেজ পরিত্যাগ করেন।

১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর মায়ের মৃত্যুর দিন তিনি মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে ভারতের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীরূপে কার্যভার গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৯ সালের ২রা ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের পর পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। 

১৯৯১ সালের ২১মে (আজকের দিনে) ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রীপেরামবুদুরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় রাজীব গান্ধীকে।