মানবাধিকার ও ভোটাধিকার হরণ’ কোনো দেশের ‘অভ্যন্তরীন বিষয়’ নয়: খসরু
আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই রকম মন্তব্য করেন।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: মানবাধিকার ও ভোটাধিকার হরণ’ কোনো দেশের ‘অভ্যন্তরীন বিষয়’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই রকম মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সনদগুলোতে বাংলাদেশ সই করেছে, সব দেশ সই করেছে সেখানে মানবাধিকার, ভোটাধিকার, মৌলক অধিকার বিষয়গুলো লেখা আছে। এই বিষয়গুলো কোনো দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় নয়।আপনি গুম করবেন, আপনি খুন করবেন, আপনি মিথ্যা মামলা দেবেন, আপনি ভোটাধিকার কেড়ে নেবেন, আইনের শাসন থাকবে না, জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, আপনি সংবিধানকে পরিবর্তন করতে করতে দলীয় পর্যায়ে নিয়ে যাবেন, বাংলাদেশের মানুষ দুই বেলা খেতে পারবে না- এগুলো অভ্যন্তরীন বিষয় নয়। এগুলো বিশ্ব বিবেক। যেখানে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতবদ্ধ। এগুলো তারা(কুটনীতিকরা) বলবে, এগুলো যখন বিদেশীরা বলে তখন আপনাদের (সরকার) খারাপ লাগে।
আমীর খসরু বলেন, আমরা বিদেশীদের কাছে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য তদবির করি না। আমরা যেটা বলি যেটা আমরা তথা বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্ব বিবেকের কাছে সেটা সম্পর্কে বলি। সেটা হচ্ছে- মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা, ভোটাধিকার যেগুলে্া আপনারা কেড়ে নিয়েছেন এগুলো আমাদের বলতে হবে । এগুলো বিএনপির বিষয় না, এগুলো দেশের সাধারণ মানুষের বিষয়। এসব কথা আমরাও বলব, বিশ্ব বিবেক বলবে। এখানে পানি ঘোলাটে করার সুযোগ নাই। কিছু কিছু এক্সপাট আছেন তারা মাঝে মধ্যে বলেন, জেনেভা কনভেনশনের কথা বলেন। জেনেভা কনভেনশন আমরা কম বুঝি না, জেনেভা কনভেনশন না পড়ে আমরা এসব কথা বলছি না।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখল এবং সেখানকার মানুষের ভোটাধিকার হরনের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক সোচ্চার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘ এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন বিষয় নয়। সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
তারেকের নেতৃত্বের প্রশংসা করে আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তনের সাথে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা যে গর্তের মধ্যে ফেলেছে। সেটা শুধু খালি পরিবর্তন দিয়ে হবে না। রুপান্তরমূলক পরিবর্তন করতে হবে, ট্রান্সফরম্যাশনাল চেঞ্জ আনতে হবে বাংলাদেশে। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব সেদিকে যাচ্ছেন এবং সেটা আমাদের জাতির কাছে পরিস্কার করবেন, ট্রান্সপারেন্ট থাকবেন। এগুলো কারো মধ্যে কোনো সন্দেহ থাকবে না।
‘১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ হবে, হবে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপি ও জনগনের যে সাংবিধানিক অধিকার যেটাকে সুরক্ষা করা।আপনারা সুরক্ষা করবেন এই প্রত্যাশা আমি করতে চাই।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জিয়ার পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, সহ সভাপতি অধ্যাপক লুতফর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews