মেসির চোখ ধাঁধানো ফ্রি কিকে পিএসজির মান রক্ষা
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) লিলের বিপক্ষেও দেখা গেল শিল্পীর শিল্পের প্রদর্শনী, হৃদয় কাড়লেন মেসি।

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক : অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে মেসির চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে জয় পেয়েছে পিএসজি। তার একেকটা ফ্রি কিক যেন ফুটবল মাঠে শিল্পীর আঁচড়, চোখ ধাঁধাঁনো, অনিন্দ্য সুন্দর। মেসির ফ্রি কিক আবারো সেটায় প্রমাণ করল। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) লিলের বিপক্ষেও দেখা গেল শিল্পীর শিল্পের প্রদর্শনী, হৃদয় কাড়লেন মেসি। সেই সাথে জেতালেন ম্যাচও, ৭ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় পেয়েছে পারি সাঁ-জেরমাঁ ফুটবল ক্লাব (পিএসজি)।
নির্ধারিত সময় তখন ফুরিয়েছে, যোগ করা অতিরিক্ত সময়ও প্রায় যায় যায়, কিছুক্ষণ আগেই সমতা ফিরিয়েছেন এমবাপ্পে, জেতার জন্য তাই একটা গোল চাই। এমতাবস্থায় মেসির একটা ফ্রি কিক গড়ে দিল ব্যবধান, বদলে দিল ভাগ্য। লিলেকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে পিএসজি৷ সেই সাথে টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের ধারায় ফিরল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
তবে শুরুটা ছিল একপেশে, মনে হচ্ছিল হেসে খেলেই পিএসজি জয় নিয়ে ফিরবে। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই এমবাপ্পের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের পাস ধরে বাম দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন এও ফরাসি ফরোয়ার্ড। সেখানে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে লিলে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে।
দ্বিতীয় গোল পেতেও দেরি হয়নি, প্রথম গোলের উল্লাস মুছে যাবার আগেই ১৭তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় পিএসজি। এবার নিজেই গোল করেন নেইমার। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তবে গোল খেয়ে যেন ঘুরে দাঁড়ায় লিলে, ছন্দ খুঁজে পায় তারা। মিনিট পাঁচেক বাদেই কর্নার থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান দিয়াকিতে। ২-১ স্কোরবোর্ড নিয়ে বিরতির যায় উভয় দল।
বিরতি থেকে ফিরেই বড় ধাক্কা খায় পিএসজি, অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন নেইমার। যেই ধাক্কা খেলাতেও পড়ে, হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ফেলে প্যারিসের দলটি। এরই মাঝে ডি-বক্সে লিলের একজনকে ফাউল করে বসেন মার্কো ভেরাত্তি। সেখান থেকে সফল স্পষ্ট কিকে লিলেকে সমতায় ফেরান জোনাথন ডেভিড।
বিপদ তখনো কাটেনি পিএসজির, মিনিট দশেক বাদে আরো একটি গোল হজম করে বসে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। গোমসের পাস ধরে জোরাল শটে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড জোনাথান বাম্বা। ফলে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় লিলে। এদিকে সময়ও প্রায় শেষ হয়ে আসে, আরো একটা পরাজয় চোখ রাঙাতে থাকে পিএসজিকে। এমতাবস্থায় শেষ মুহূর্তে এসে দলকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে, ৮৮তম মিনিটে হুয়ান বের্নাতের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি।
হার এড়াতে পারলেও জয় না পাবার আক্ষেপ নিয়েই হয়তো মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পিএসজি সমর্থকেরা৷ ততক্ষণে শেষ নির্ধারিত সময়ের খেলা। অতিরিক্ত সময়টুকোও শেষ দিকে, তখনই ত্রাতা হয়ে দেখা দেন মেসি। ফ্রি-কিকে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় তা জালে জড়ান তিনি। সেই সাথে নিশ্চিত হয় পিএসজির জয়।
এই জয়ে ২৪ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: