মায়ের জানাজার পরপরই খবর এল, ছেলেও বেঁচে নেই
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে মা শাহানার কবরের পাশে শিশু আবরারকে দাফন করা হয়েছে।

Join our subscribers list to get the latest news, updates and special offers directly in your inbox
প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা, দুই শিশুসন্তানসহ একই পরিবারের তিনজন আহত হন। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মা শাহানা আক্তার (৩০)। রাত নয়টায় জানাজা পরপরই খবর আসে, হাসপাতালে ছেলে আবরার আতিফও (৫) মারা গেছে। মেয়ে ফাহমিদা আলিফা (৮) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে মা শাহানার কবরের পাশে শিশু আবরারকে দাফন করা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নে হলেও একই ইউনিয়নের লিচুবাগান চৌধুরী টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শাহানা তৃতীয় তলার বাসার বারান্দা থেকে ভবনের পাশে ৩৩ কিলোভোল্ট খোলা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে আটকে থাকা চাবির রিং স্টিলের পাইপ দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। মাকে বাঁচাতে আট বছরের মেয়ে ফাহমিদা এগিয়ে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পাশে থাকা পাঁচ বছর বয়সী ছেলে আবরার মায়ের কাছে ছুটে গেলে সেও রক্ষা পায়নি। প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতে তাঁদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মা শাহানা আক্তার ও রাত নয়টায় মারা যায় ছেলে আবরার আতিফ। মেয়ে ফাহমিদা আলিফা চিকিৎসাধীন।
শাহানার স্বামী মো. পারভেজ আহাজারি করে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ঘরে ছিলাম না। আমি থাকলে হয়তো স্ত্রী ও শিশুসন্তানের এমন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারতাম।’ চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলে মারা যাওয়ার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাঁদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের আরও একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার সুস্থতা কামনা করি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
Feb 15, 2022
Feb 27, 2022
Oct 29, 2021