রাজধানীতে বড় শোডাউন করবে যুবলীগ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আওয়ামী যুবলীগের দীর্ঘ ৫০ বছরের পথ-পরিক্রমায় যেকোনো সংকট-সংগ্রামে সংগঠনটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যে মুহূর্তে আমরা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, তখনই বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরশ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চারদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন ও ১১ই নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য যুব মহাসমাবেশ। এই মহাসমাবেশের মধ্যদিয়ে রচিত হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য ইস্পাত-কঠিন ভিত্তি। যা বিএনপি-জামায়াতের কাছে অজেয়, দুর্লঙ্ঘনীয়। সমাবেশস্থলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সমাবেশ সফল করতে ১০টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট রাখা হবে। এ সমাবেশ হবে তারুণ্য, সাহসের ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। দেশের অদম্য অগ্রগতির ধারা রক্ষায় সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে অবস্থান করবে যুবলীগ।
কেননা, যুবলীগ বিশ্বাস করে- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হেরে গেলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুবলীগ ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। পরশ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট দুঃসহ দিনগুলোর কথা নিশ্চয়ই আপনারা ভুলে যাননি। ৯২ দিনের অবরোধ! দেড় শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। গোটা দেশকেই তারা বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল। আজকের বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াতের সেই লেলিহান শিখায় পুড়তে চায় না। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগ জানিয়েছে, সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করা হবে। এরই অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুবলীগ জানায়, যুব মহাসমাবেশকে মহা-জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। এই কর্মসূচি সফল করতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠন। সারা দেশ থেকে তাদের নেতাকর্মীরা কোন রুটে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করবে তার বিস্তারিত তথ্য সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভিআইপি গেট বাদে সমাবেশে প্রবেশের গেট থাকবে পাঁচটি।
এগুলো হলো- টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন গেট, মেট্রোরেল স্টেশন গেট, রমনা কালি মন্দির গেট, মেট্রোরেল গেট-১ (মাজার গেটের পরের গেট) এবং মাজার গেট। সমাবেশে প্রবেশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সবুজ কার্ডধারী অতিথিরা ৩ নম্বর গেট (রমনা কালী মন্দির গেট) দিয়ে প্রবেশ করবেন। রংপুর বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা উত্তরের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন ১ ও ২ নম্বর গেট দিয়ে। বৃহত্তর ফরিদপুর, খুলনা বিভাগ, বরিশাল বিভাগ, সিলেট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গেট দিয়ে। যুবলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃহত্তর ফরিদপুর ও খুলনা বিভাগ থেকে যারা পদ্মা সেতু হয়ে মহাসমাবেশে আসবেন তারা হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে না এসে বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে আসবেন। কারণ, সিলেট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ, বৃহত্তর ফরিদপুর ও খুলনা বিভাগের নেতাকর্মী একইসঙ্গে হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার করলে টোল প্লাজায় দীর্ঘ লাইন পড়ে যেতে পারে। সাংবাদিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মোতাবেক ভিআইপি গেট, অর্থাৎ শিখা চিরন্তনী গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, সমাবেশস্থলে সুপেয় পানি, পর্যাপ্ত পরিমাণে মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। মোবাইল ফোন নিয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews