শেখ হাসিনার আক্রােশের রায় কালো বৈশাখী ঝড়ের মতো উড়ে যাবে: রিজভী

শেখ হাসিনার আক্রােশের রায় কালো বৈশাখী ঝড়ের মতো উড়ে যাবে: রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা :বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার সহ-ধর্মীনি জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আক্রােশের রায়ের কপি টুকরো টুকরো হয়ে কালো বৈশাখী ঝড়ের মতো উড়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন,'বিএনপির মহাসমাবেশে মাত্র ১৫ ঘন্টার ঘোষণা লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল নেমেছে। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলো দেখেই আক্রোশে এই রায় দিয়েছে। এই যে তরুণরা যারা আছে ওই সাদা কালো রায়ের কপি টুকরো টুকরো করে কালো বৈশাখী ঝড়ের মতো উড়িয়ে দেবে। বুধবার(২ আগস্ট)বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার সহ-ধর্মীনি জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী বলেন,' শেখ হাসিনার কাছ থেকে আমরা কি আশা করি? শেখ হাসিনার মধ্যে কোন ভদ্র,সভ্য আচরণ আছে? তিনি বাংলাদেশটাকে তার নিজের জমিদারি মনে করে। আর তার সাথে যারা আছে ওবায়দুল কাদেররা তারা হচ্ছে তার নায়েব। জমিদার যদি বলে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠেছে তার না‌য়েবরাও বলে হ্যাঁ সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠেছে এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান দুজনেই বিখ্যাত পরিবারের সন্তান। বাংলাদেশের গণতন্ত্র,মু‌ক্তি‌যুদ্ধ সবকিছুতেই যাদের অবদান সেই পরিবারের দুজন সন্তান তারেক রহমান ও জুবায়দা রহমানকে শেখ হাসিনা প্রহসনের মামলায় সাজা দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো অবদান নাই। আর গণতন্ত্র হত্যার জন্য সুপরিচিত আওয়ামী লীগ। তাই যারা গণতন্ত্রের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্বাধীনতার পক্ষে তারা তো বন্দী হবেই।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বয়নে স্বপনে সবসময় একটাই ভয় তারেক রহমান কখন ফিরে আসে। তিনি ১ হাজার মাইল দূরে আছেন তারপরও তাকে শেখ হাসিনা ভয় পান। তিনি হাসিনা সবসময় আতঙ্কে থাকেন। কারণ যাদের জনসমর্থ্য নাই যারা জনগণকে বন্ধু মনে করে না যারা জনগণকে শত্রু মনে করে তারা তো আতঙ্কে থাকবেই।শেখ হাসিনা ভুলে গেছে সাজা দিয়ে নির্যাতন-নিপীরণ করে জনগণকে আরো ক্ষেপিয়ে তুলেছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন,'অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছে বিএনপি এত টাকা পায় কই। বিএনপি নির্বাচন কমিশন কে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব সাংবাদিকের সামনে প্রকাশ্যে দিয়েছে। কিন্তু আপনি এত টাকা পান কই?শেখ হাসিনার পরিবার কি এদেশের বিখ্যাত ধনী পরিবার ছিল? আপনার পরিবার মধ্যবিত্ত ছিল এটা আমরাও জানি সবাই জানে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির অফিস ১০ তলা গুলিস্তানের এভিনিউর অফিস ঝাড়বাতি দিয়ে ঝিলমিল রঙিন করেছেন এই টাকা আপনি কোথায় পেলেন প্রধানমন্ত্রী? সম্ভবত আজ রংপুরে সমাবেশ হচ্ছে। অনেকেই আমাকে ফোন করে বলেছে শেখ হাসিনার সমাবেশে লোক জড়ো করার জন্য প্রত্যেককে ১০০০ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা আপনি প্রধানমন্ত্রী কিভাবে পেলেন?

রিজভী বলেন,'বাংলাদেশ ব্যাংকের আট হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? যে লুটপাট করেছেন তার জন্য যে সাজা হবে সেই চিন্তা আপনি করেন। বেসিক ব্যাংক কে লুটপাট করেছে? এগুলো আমরা জানি না মনে করছেন।ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের একজন সভাপতি দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে ওইটার হিসাব আগে নেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী আপনি বিএনপির হিসাব নিতে আসেন।

গত ১৪ বছরে যে লুটপাট করেছেন। আপনার নেতারা যারা চেয়ে চেয়ে খেতো তারা আজ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক কানাডায় বেগম পাড়া বানিয়েছেন। তিনি বলেন,'৭১ সালে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে যেভাবে যুদ্ধ হয়েছে ।আমাদের কেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে এখন না দেখি শান্তির কর্মসূচিতে কি হয়। আওয়ামী লীগ ২৯ তারিখ যে রক্তাক্ত করেছে এগুলো বৃথা যাবে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর যে অত্যাচার করেছেন সেগুলো বৃথা যাবেনা।এর জবাব সময় মতো দেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান,যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন,হাবিব উন নবী খান সোহেল,যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।