স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নে পশ্চিমা চাপ সামলানোই ঢাকার বড় চ্যালেঞ্জ, ব্যত্যয় ঘটলে নীতি বদলাতে পারে ওয়াশিংটন

যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশীয় বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, এবার ঢাকার জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হবে স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নে পশ্চিমা দেশসমূহের ক্রমবর্ধমান চাপ মোকাবিলা করা।

স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নে পশ্চিমা চাপ সামলানোই ঢাকার বড় চ্যালেঞ্জ, ব্যত্যয় ঘটলে নীতি বদলাতে পারে ওয়াশিংটন
স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নে পশ্চিমা চাপ সামলানোই ঢাকার বড় চ্যালেঞ্জ, ব্যত্যয় ঘটলে নীতি বদলাতে পারে ওয়াশিংটন

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশীয় বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, এবার ঢাকার জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হবে স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশ্নে পশ্চিমা দেশসমূহের ক্রমবর্ধমান চাপ মোকাবিলা করা। নির্বাচন নিরপেক্ষ বা নিয়মসিদ্ধভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি, এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হলে ওয়াশিংটন বাংলাদেশ প্রশ্নে তার নীতি বদলাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ, যারা বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের মতো সরাসরি না হলেও লক্ষণীয় চাপ প্রয়োগ করতে পারে। একটি লেখায় তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন। তবে তিনি এ-ও বলেন, চীন এবং ভারতের মতো দেশ, যারা বাংলাদেশের বড় অংশীদার, তারা হয়তো অবস্থার পরিবর্তন না হলে খুশিই হবে।

তা ছাড়া বাংলাদেশ সরকার তো এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বিষয়ে কোনো বিদেশি চাপ সে বরদাশত করবে না। মুক্ত ও স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ইতিহাস খুব উজ্জ্বল নয় এমন মন্তব্য করে দক্ষিণ এশীয় ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করলেও অবস্থা যে খুব একটা বদলাবে, আমার তা মনে হয় না। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য, যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা। ক্ষমতা হারালে এই দলের অনেক শীর্ষ নেতার বিচারের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মুক্ত নির্বাচন প্রশ্নে বাংলাদেশের রেকর্ড মোটেই উৎসাহব্যঞ্জক নয় বলেও মন্তব্য করেন মাইকেল কুগেলম্যান।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: