৩৪ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করা ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি ট্রাম্প : হিলারি ক্লিনটন

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের প্রশংসায় সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। দলের জাতীয় কনভেনশনের প্রথম দিনের ভাষণে হিলারি ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে তীর্যক মন্তব্য করতেও ছাড় দেননি। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীতা করা মার্কিন ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি ট্রাম্প, যিনি ৩৪টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে নেমেছেন। পক্ষান্তরে কমালাকে হোয়াইট হাউসের দৌঁড়ে এগিয়ে রেখেছেন হিলারি। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিসেবে কমালা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানাতে শিকাগোতে হাজার হাজার সমর্থক জড়ো হয়েছে। দলটির জাতীয় কনভেনশনেই আনুষ্ঠানিকভাবে কমালাকে মনোনয়ন দেয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শক্ত প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন কমালা।
জাতীয় কনভেনশনের প্রথম দিন বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি আগেই কমালাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করেছেন। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে কমালার নাম ঘোষণা বাকি রেখেছে ডেমোক্র্যাটরা। যা এই কনভেনশনের মধ্য দিয়ে পূর্ণ হতে চলেছে। প্রথম দিনের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন কমালাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সবসময় আমাদের উপরে থাকবেন এবং তিনি আমাদের জন্য একজন আসল যোদ্ধা হবেন। তিনি কঠোর পরিশ্রমী পরিবারগুলোর জন্য দ্রব্যমূল্য কমিয়ে নিয়ে আনতে সাহায্য করবেন। ভাল বেতনে কর্মসংস্থান তৈরি করবেন এবং হ্যাঁ, তিনি দেশব্যাপী গর্ভপাতের অধিকার পুনরুদ্ধার করবেন।’ অন্যদিকে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে হিলারি বলেছেন, ‘ট্রাম্প শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবেন। বিচার শেষ করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি, পরে যখন জেগে উঠলেন তখন তিনি তার ৩৪টি অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মার্কিন ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হয়ে উঠলেন।’
হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এছাড়া ক্লিনটন ২০০৮ সালে বারাক ওবামার সময় দলীয় মনোনয়ন হারিয়েছিলেন। হিলারি তার ভাষণে জো বাইডেনের প্রশংসা করেছেন। তিনি বাইডেনকে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন বলে আখ্যা দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হন বাইডেন। এরপর তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচনার তোপে বাইডেন শেষ পর্যন্ত কমালা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন। এরপর থেকে ডেমোক্র্যাটরা যেন পুনরায় তাদের শক্তি ফিরে পায়।