আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যা করার ইতিহাস: সালাহউদ্দিন আহমেদ

আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যা করার ইতিহাস: সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রাজনীতির মহাকাব্য। এই দফার মধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানসহ মানুষের মৌলিক অধিকার এবং বাস্তবায়নের পথ দেখানো হয়েছে। আমাদের এই ভাবনাকে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। দলের সব নেতাকর্মী, তরুণরা প্রত্যেকেই এই ৩১ দফার অ্যাম্বাসেডর।

শুক্রবার খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকারবিষয়ক তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুব দলের প্রায় সাড়ে চারশো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

সালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যা করার ইতিহাস, এক দলীয় শাসনতন্ত্র কায়েম করার ইতিহাস। ২০১৪ থেকে প্রবঞ্চনামূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এদেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে ট্যাক্স ছাড়ের নামে যে পরিমাণ অর্থ লুটপাট হয়েছে তা যদি অর্ধেকও রোধ করা যেত, তাহলে জাতীয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বাজেট আরও তিনগুণ করা যেত। তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকলে দেশে অশান্তি বিরাজ করতেই থাকবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রাখতেই ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের ধারণা দিয়েছে বিএনপি। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনের উপস্থাপনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনা সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হক, বিডিজবস প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর, জার্মানির ডিডব্লিউ একাডেমির রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রভাষক ড. মারুফ মল্লি­ক, জবান সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, এ এম জেড হাসপাতালের ডা. সায়েম মোহাম্মদ, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খন্দকার, শিখোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার শাহীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক জোয়ার্দার প্রমুখ।