গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু
এর আগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে নাজমুল হাসান অরেঞ্জ এবং তার সহযোগী একই সংগঠনের ওয়ার্ড কমিটির নেতা মিনহাজ হোসেন আপেল গুলিবিদ্ধ হন।

প্রথম নিউজ, বগুড়া: বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৮) মারা গেছেন। সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ২ জানুয়ারি রাতে ভর্তির পরপরই অরেঞ্জকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
এর আগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নাজমুল হাসান অরেঞ্জ এবং তার সহযোগী একই সংগঠনের ওয়ার্ড কমিটির নেতা মিনহাজ হোসেন আপেল (২৮) গুলিবিদ্ধ হন।
অরেঞ্জের চোখের নিচে এবং আপেলের পেটে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অরেঞ্জকে শজিমেক হাসপাতালের আইসিউইতে নেওয়া হয়। আর ওই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে আপেল বাড়ি ফিরে যান।
ওই ঘটনার পরের দিন অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালী আক্তার মালগ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), তার ছোট ভাই রাছানীসহ (২৭) সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নং আসমি টিপুকে গ্রেফতার করে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, অরেঞ্জের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: