সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে : রব

তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কিনতেছেন ডলার সংকটের সময়ে। নির্বাচন না হলে এই ইভিএম দিয়ে কি হবে। এই ডলারের টাকা কে দিবে। এই সরকার ও নির্বাচনের অধীনে তো নির্বাচন হবেনা। জনগণ এই নির্বাচন মেনে নিবেনা।'

সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে : রব

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন বাংলাদশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আবদুর রব বলেছেন, ‘বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা করছে সরকার। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বলা হচ্ছে নির্দেশ ছাড়া হামলা করা যাবেনা। তাহলে আগের হামলাগুলো নির্দেশ দিয়ে হয়েছে। পালাবার রাস্তা পাবেন না।’

তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কিনতেছেন ডলার সংকটের সময়ে। নির্বাচন না হলে এই ইভিএম দিয়ে কি হবে। এই ডলারের টাকা কে দিবে। এই সরকার ও নির্বাচনের অধীনে তো নির্বাচন হবেনা। জনগণ এই নির্বাচন মেনে নিবেনা।'

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র জনগণের নয়, রাজনৈতিক দলের। ছিয়ানব্বই শতাংশ মানুষ রাজনীতি করেনা। তারা শ্রমজীবী ও পেশাজীবী। আমরা এসব মানুষের মতামত নিতে এবং তাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ চাই। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। যারা নির্যাতিত তাদেরকে মামলা দেওয়া হয়েছে। এই রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই; এই রাষ্ট্র জনগণের রাষ্ট্র নয়। এই রাষ্ট্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা মহাসংকটে আছি। সমস্যা সমাধানে আমাদের রাজনৈতিক ঐক্য প্রয়োজন। সংকট নিরসনে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট দফা নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক সবাইকে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করতে হবে।’

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘৮০ দশকের লড়াই একটা সম্ভাবনাময় লড়াই ছিল। সবার অংশগ্রহণে এরশাদ পতনের মধ্য দিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল কিন্তু এরপরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলেও দেশে পূর্ণগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় নাই।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতান্ত্রিক অধিকার না থাকায় কেউ তাদের দাবির কথা বলতে পারছে না। তরুনদের মাঝে যেই ভয়াবহ ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তার অবসান ঘটনো এবং এই লড়াইয়ে তরুনরাও অংশগ্রহণ করবে।’

বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। দেশের কোন মানুষ বিশ্বাস করেনা যে এই সরকারের অধীনে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে। যেই সরকার মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হামলা করে তাদের কাছে আর কি চাওয়ার আছে। এমন কর্তৃত্ববাদী সরকার অবাধ নির্বাচন করবে এটা কোন সাধারণ কথা না, এটা কাণ্ডজ্ঞানহীন কথা।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ গণতন্ত্র মঞ্চের অনান্য নেতারা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom