অনুশীলনে ভারতের চরম অসহযোগিতা, হারিয়েই জবাব দেবে বাংলাদেশ

অনুশীলনে ভারতের চরম অসহযোগিতা, হারিয়েই জবাব দেবে বাংলাদেশ

প্রথম নিউজ, অনলাইন :   এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ হবে ঘাসের মাঠে। সে অনুযায়ী ঘাসের মাঠে অনুশীলনও করছে স্বাগতিক ভারত। কিন্তু সেই মাঠ পেতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামের টার্ফে আগের দিন অর্থ খরচ করে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। রোববারও সেখানে অনুশীলন করতে চাইলে শুরুতে নেহু গ্রাউন্ডে যেতে বলা হয়েছিল। এ নিয়ে ম্যানেজার আমের খান সকাল থেকে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিনিধির সঙ্গে শিলংয়ে আলোচনা করেছেন।

পরে তিনি জানান, ‘আমাদের টার্ফে অনুশীলন করার কথা। হঠাৎ তারা বলছে এখানে অনুশীলন করার সুযোগ নেই। সেই প্রথম দিনের মাঠে যেতে। এ নিয়ে দেনদরবার চলছে।’

পরে অনুশীলনের মাঠ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ম্যানেজার বলেন, ‘এখানে না আসলে বুঝবেন না মাঠ নিয়ে ভোগান্তি কেমন হয়েছে। একবার বলে ছয়টা, আবার বলে চারটা। আমরা লাঞ্চ করব কখন, আর অনুশীলন করবই বা কখন। হোটেল থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বের সেই মাঠে কেনই বা যাব আমরা। টার্ফ ব্যবহার করতে টাকা দিতে হয়েছে। তারপরও যেতে সময় লাগছে। অবশেষে শেষ মুহূর্তে এসে টার্ফের মাঠ দিয়েছে ওরা। তবে আমাদের ফ্লাডলাইটে অনুশীলন করা হয়নি।’

শিলংয়ের আবহাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে জানান আমের, ‘এত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের খেলতে হবে, সেই প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। সৌদি আরবের তায়েফে যে ঠান্ডা ছিল, এখানেও প্রায় একই। তাই কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিয়েছি বলা যায়।’

ভারতের আক্রমণভাগকে রুখে দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। কাল অনুশীলন শেষে সেই দায়িত্বের কথা নিজেই জানালেন তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তবে এই ম্যাচ ভিন্ন। কারণ অনেক হাইপ উঠেছে এই ম্যাচ ঘিরে। দেশের ফুটবল সমর্থকরা সবাই তাকিয়ে আছে এই ম্যাচের দিকে। বড় দায়িত্ব থাকবে আমার ওপর। গোল হজম না করাই থাকবে লক্ষ্য। পাশাপাশি সঙ্গে দলকে উজ্জীবিত করতে হবে। লক্ষ্য থাকবে আমার সঙ্গে যে তিনজন থাকবে, তাদের নিয়ে একটা ভালো ফাইট দেওয়া এবং গোল হজম না করা।’

প্রতিপক্ষ ভারতের ফুটবলারদের নিয়ে তপুর কথা, ‘ভারত সবসময়ই ভালো দল। আইএসএলে তাদের ফুটবলাররা খেলে থাকে। বদলি খেলোয়াড়রাও ভালো। তবে সুনিল ছেত্রী অবসর নেওয়ার পর থেকে ভারত আর ম্যাচ জেতেনি। আমরা বুঝতেই পারছি ভারতীয় দলে সুনিল ছেত্রীর গুরুত্ব কতটা। সে ফেরার পর আবার ভারত ম্যাচ জিতেছে। আমাদের সুনিলকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা রাখতেই হবে।’

দলের নতুন সুপারস্টার হামজা চৌধুরীকে নিয়ে বেশ উৎফুল্ল তপু বর্মণ, ‘হামজা আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই বেশ ভালো ভাবে মিশেছে। সবার সঙ্গেই খুবই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি সবসময় তার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী ফরোয়ার্ড মো. ইব্রাহিমও। তার কথা, ‘দলের সবার অবস্থা ভালো। অনেকদিন পরে জাতীয় দলে ফিরেছি। সেরা একাদশে থাকতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। বদলি হিসাবে নামলেও ভালো খেলার চেষ্টা থাকবে। আসলে সব জায়গায় প্রতিযোগিতা থাকবে, সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এতদূর আসা।’