আমিরাত ফেরত যাত্রীর পোশাকে কোটি টাকার সোনা
আন্ডারওয়্যার, গেঞ্জি ও প্যান্ট—তিনটিতেই ছিল সোনার প্রলেপ।

প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম : সোনার প্রলেপ দেওয়া জামাকাপড় পরে উড়োজাহাজ থেকে নেমেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতফেরত যাত্রী। আন্ডারওয়্যার, গেঞ্জি ও প্যান্ট—তিনটিতেই ছিল সোনার প্রলেপ। এমন কৌশল নিয়েও ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই যাত্রীর কাছ থেকে সোনার জামাকাপড় উদ্ধার করেন কর্মকর্তারা। সোনার জামাকাপড় পরে আসা যাত্রীর নাম মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায়। সোনার জামাকাপড় উদ্ধার করার এই অভিযানে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, সকালে উড়োজাহাজ থেকে নামার পর ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্বীকার করার একপর্যায়ে লুঙ্গি দিয়ে একটি কক্ষে পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানে লুঙ্গি পরে জামাকাপড় খুলে কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন ওই যাত্রী।

ওই কর্মকর্তা জানান, যাত্রীর জামাকাপড় থেকে সোনা আলাদা করার জন্য দুপুরে চট্টগ্রাম শহরে হাজারীগলিতে সোনার কারখানায় নেওয়া হয়। সেখানে সনাতন পদ্ধতিতে জামাকাপড় থেকে সোনার প্রলেপ আলাদা করে পাওয়া যায় ১ কেজি ৪২৯ গ্রাম সোনা, যার বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। অভিযানে জামাকাপড় ছাড়াও আলাদা করে সোনার বার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে রয়েছে ২৩৩ গ্রাম ওজনের দুটি সোনার বার এবং ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার। সব মিলিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার ১ কেজি ৭৬২ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়েছে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, চোরাচালানে জড়িত থাকায় ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে নগরের পতেঙ্গা থানায় মামলা করা হয়েছে। বাস্তবিকতা নেই। এটি পক্ষপাতমূলক। মনে রাখবেন যে এটি ভারতে দেখানো হয়নি। আমরা এই বিষয়ে আরও উত্তর দিয়ে তথ্যচিত্রটিকে গুরুত্ব দিতে চাই না। "
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: