ইউক্রেন বিমান বাহিনীর কমান্ড সেন্টার গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনারা

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভিন্নিতসিয়া শহরে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ড সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ দখলদার বাহিনী।

ইউক্রেন বিমান বাহিনীর কমান্ড সেন্টার গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনারা

প্রথম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভিন্নিতসিয়ায় দেশটির বিমান বাহিনীর একটি কমান্ড সেন্টার গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রুশ বাহিনীর ছোড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এই কমান্ড সেন্টারটিতে আঘাত হানে। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ধ্বংস হয়ে যাওয়া কমান্ড সেন্টারটির ছবি টুইট করেছে দেশটির বিমানবাহিনী।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভিন্নিতসিয়া শহরে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ড সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ দখলদার বাহিনী। ‘কমান্ড সেন্টারটি লক্ষ্য করে অন্তত ৬টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। দুই/তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স ইউনিট ধ্বংস করতে পেরেছে, তবে বাকিগুলোর আঘাতে কমান্ড সেন্টার ভবনসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবন ও স্থাপনা সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।

এর আগে বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের বৃহত্তম জ্বালানি তেলের ডিপো ধ্বংস করেছিল রুশ বাহিনী। রাজধানী কিয়েভ সংলগ্ন ক্যালিনোভকা গ্রামের ওই ডিপো থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ও দেশটির মধ্যাঞ্চলে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হতো। এছাড়া চলতি মাসের গোড়ার দিকে এই ভিন্নিতসিয়া শহরের একটি বেসামরিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল রুশ সেনারা। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সাল থেকে দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী সদস্য’ মনোনীত করার পর আরও বাড়ে এই দ্বন্দ্ব।

ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনকে চাপে রাখতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী। অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

অভিযানের ৩১তম দিনে দেশটির প্রধান জ্বালানি তেলের ডিপো ধ্বংস করল রুশ সেনারা। শুক্রবার এই অভিযান পৌঁছেছে ৩২তম দিনে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের অধিকাংশ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom