উচ্চসুদে ঋণ নিতে বাধ্য হবে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো
উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এ বছর তারল্য সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো

প্রথম নিউজ, ঢাকা : উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এ বছর তারল্য সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো। এর ফলে তারা উচ্চ সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হবে। এর ফলে নিট সুদের হার এবং লাভের ক্ষেত্রে আঘাত আসবে। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিসকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিসকে কখনো কখনো মুডিস নামেও অভিহিত করা হয়। এটি হলো ক্রেডিট রেটিং বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বিনিয়োগ বিষয়েও গবেষণা করে। ক্লায়েন্টদের কাছে একটি নোটে সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো যে তারল্য সংকট মোকাবিলা করছে তা ২০২৩ সালেও পুরোপুরি যাবে না। কারণ, এখানে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি আছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ফলে রপ্তানিকারকদের আয় কমে যেতে পারে।
তারাই হলো বৈদেশিক মুদ্রার তারল্যে অবদান রাখা গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রিবিউটর। মুডিস বলেছে, এ বছর বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি শতকরা ৭ থেকে ৮ ভাগে দাঁড়াবে। করোনা মহামারির সময়ের মুদ্রাস্ফীতি শতকরা ৫.৫ থেকে ৬ভাগ ছিল। কিন্তু তা থেকে মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেড়েছে। ২০২২ সালে তারল্যের ওপর চাপ পড়েছে। এর কারণ বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ডলার সংকট এবং রেমিট্যান্স কমে যাওয়া উল্লেখযোগ্য। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘রিপো উইন্ডো’ এবং আন্তঃব্যাংক তহবিল অপশনের মাধ্যমে তারল্য সংকটকে সহজ করার চেষ্টা করছে, উচ্চ চাহিদা এবং আর্থিক কঠোরতার কারণে তহবিল ব্যয় বাস্তবেই বেড়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফার মার্জিন এবং লাভের সুযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
মুডিস-এর বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, গভর্নমেন্ট সিকিউরিটির অল্প পরিমাণ হোল্ডিং আছে এমন দুর্বল ব্যাংকগুলো তাদের ‘রিপো’ সুবিধা চাইতে পারে। এসব ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়তে পারে। কারণ, তারা আন্তঃব্যাংক মার্কেট থেকে অথবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ‘রিপো’ সুবিধার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে জটিলতায় পড়তে পারে।
এতে আরও বলা হয়, আভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামিক ব্যাংকগুলো অন্যদের তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাদের ছোট আকারের তারল্য বাফার ও ব্যবসায় কাঠামোর কারণে এমনটা ঘটতে পারে। তারা বেশি তারল্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।