গাজীপুর-সাভারে শ্রমিক বিক্ষোভ: গুলিতে নিহত ১
কারখানার এক কর্মচারী রাসেল হাওলাদার (২২) নিহত ও আমিনুল ইসলাম নামে আরও এক শ্রমিক রাবার বুলেটে মারাত্মক জখমসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। ওদিকে সাভারে দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে ৩০ জন আহত হয়েছে।

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: গাজীপুরে দফায় দফায় শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কারখানার এক কর্মচারী রাসেল হাওলাদার (২২) নিহত ও আমিনুল ইসলাম নামে আরও এক শ্রমিক রাবার বুলেটে মারাত্মক জখমসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। ওদিকে সাভারে দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিক বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে ৩০ জন আহত হয়েছে।
ওদিকে পুলিশের গুলিতে রাসেল হাওলদারের মৃত্যু হয়েছে বলে শ্রমিকেরা দাবি করলেও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) এর দাবি, তাদের গুলিতে কেউ মারা যায়নি। নিহত রাসেল হাওলাদার (২২) কার্ডিয়াক অ্যারেস্টজনিত কারণে মারা গেছেন। নিহত রাসেল হাওলাদার নগরের মালেকের বাড়ি এলাকার ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড কোম্পানির ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ঝালকাঠি সদরের বিনাই কাঠি গ্রামে। তিনি গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন কলম্বিয়া কারখানার পাশের নুর আলমের বাসার ভাড়াটিয়া ছিলেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও তাদের কাজের দাম বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়েই বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, তাদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে গতকাল সকালে ভোগড়াসহ আশপাশের এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিভিন্ন কারখানায় বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড কারখানা ছুটি দেয়া হয়।
এ সময় পুলিশ আন্দোলনরত অন্য কারখানার শ্রমিকদের ওপর গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সে সময় দোকানের সামনে থাকা রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক জখম হলে তাকে প্রথমে তায়ারুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারেক হাসান জানান, হাসপাতালে একজন গার্মেন্টস কর্মীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। মৃতের গলা ও শরীরে ছোট ছোট গোলাকার লাল রঙের দাগ ছিল। হাতে ব্যান্ডেজ করা ছিল। পুলিশের মাধ্যমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত করানো হবে। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গতকাল সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ির বিভিন্ন গার্মেন্ট, বাসনের কলম্বিয়া গার্মেন্ট, স্টারলাইট গার্মেন্টসহ অন্যান্য গার্মেন্টের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। গার্মেন্ট শ্রমিকরা দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাসন থানাধীন কলম্বিয়া গার্মেন্টের সামনে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এ সময় পুলিশ তাদের উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ও ফাঁকা জায়গায় রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপুর একটায় তায়ারুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাছা থানায় ফোন করে জানানো হয় যে, গার্মেন্টের শ্রমিক রাসেল হাওলাদার অসুস্থ অবস্থায় সেখানে ভর্তি আছে। পুলিশ সেখানে গেলে ডাক্তার জানায়, তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। তাকে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেছেন। ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি আরও জানান, গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্নভাবে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে ওয়েজবোর্ড ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
এ ছাড়াও কোনাবাড়ী এলাকার এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিকাল ৫টার দিকে কাশিমপুর-কোনাবাড়ী রোডের ওই ফ্যাক্টরির গেট ভেঙে উশৃঙ্খল যুবকরা ভেতরে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ফ্যাক্টরির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মারধর করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, আন্দোলনের কারণে গাজীপুরের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছিল। খবরটি আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে একদল শ্রমিক ওই কারখানার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ওই কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানায় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ওই কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে যোগ না দেয়ায় গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের মারধর করে। একপর্যায়ে কারখানায় আগুন দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-আরেফিন জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কাপড়-চোপড়সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পুড়ে গেছে।
এদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে গাজীপুরের মৌচাক ও কোনাবাড়ী এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল থেকেই গাজীপুরের কোনাবাড়ী, ভোগড়া, চান্দনা চৌরাস্তা, নলজানিসহ আশপাশের এলাকায় শিল্প কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। এ সময় বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর হয় ও একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ভবনে ঢিল ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। শ্রমিকদের একটি গ্রুপ গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করতে গেলে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ শ্রমিকদের ছাত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় ভোগড়া এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কলম্বিয়া কারখানার সামনে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ওসি মো. আবু সিদ্দিক জানান, পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। একপর্যায়ে তারা একটি সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুরে তাদের এই আন্দোলন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে তেলিপাড়া এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এতে মহাসড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিকালে কোনাবাড়ী শিল্প এলাকায় আন্দোলন প্রকট আকার ধারণ করে। একইভাবে কারখানা শ্রমিকদের এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে কাশিমপুর শিল্প এলাকায়।
সাভার-আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ, আহত ৩০ সাভার-আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ২য় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় তারা দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করলে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ শ্রমিক আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অন্তত ২০ কারখানায় একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- এনভয় গার্মেন্টের শ্রমিক নজরুল ইসলাম, ভার্চ্যুয়াল গার্মেন্টের শ্রমিক সীমা আক্তার, পথচারী বিমল শীল ও মজনু মিয়া। তবে বাকি আহতদের তথ্য দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে বিভিন্ন কারখানার প্রায় ৩-৪ হাজার শ্রমিক আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন অন্তত ১০টি কারখানার শ্রমিকরা। আন্দোলনে সমর্থন না দেয়ায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হামীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশনস লিমিটেড-১ কারখানায় প্রবেশ করে কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কারখানার ব্যবস্থাপক সাহাবুদ্দিন, ১ নম্বর গেটের সিকিউরিটির দ্বায়িত্বে থাকা ইনচার্জ নিতাই, কোয়ালিটি ইনচার্জ মো. তাইজুল উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। সাহাবুদ্দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার হারুন-অর রশিদ বলেন, আমাদের হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেক্সট কালেকশনস লিমিটেডের অন্তত ২০ জন কর্মকর্তা আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ থেকে ৫ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ নজরুলের বোন শিউলি বেগম জানান, আমার ভাই রাত্রিকালীন ডিউটি শেষে সকালের দিকে বাসায় যাওয়ার জন্য গার্মেন্টস থেকে বের হয়। এ সময় অন্য গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে পুলিশ গুলি করলে আমার ভাইয়ের মাথায় গুলি লাগে। চিকিৎসক জানিয়েছেন আমার ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১’র পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদেরকে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বেশকিছু কারখানায় একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। একই দাবিতে সাভারের হেমায়েতপুর পদ্মারমোড় এলাকায় বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল সকালে তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস গ্যাস ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়।
পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকেরা কাজে যোগদানের পরপরই কারখানার ভেতরে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দিলে শ্রমিকেরা বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশের তাড়া খেয়ে শ্রমিকেরা বিভিন্ন অলিতে গলিতে অবস্থান নেয়, এরপর সুযোগ বুঝে তারা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।