জ্বালানির বর্ধিত দাম প্রত্যাহার না করলে বড় কর্মসূচির হুঁশিয়ারি সাকি’র
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: অবিলম্বে ডিজেল-পেট্রোলসহ জ্বালানির বর্ধিত দাম প্রত্যাহার না করলে গণতান্ত্রিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। রোববার এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে হারিকেন মিছিল করে দলটির নেতাকর্মীরা। জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের কথিত জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফল নয়, বরং তাদের লুটপাটের নীতি-অব্যবস্থাপনার ফলাফল। সেই সাথে সরকার বিদ্যুৎ খাতে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছে। তেলের দাম ছয় মাস আগে বৃদ্ধি পেলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম আবার কমে আসছে সরকার তখন অস্বাভাবিকভাবে প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করলো। অথচ এই খাতে এতোদিন তারা লাভ করেছে। সেই লভ্যাংশ সমন্বয় করলে এবং সরকার যে জ্বালানি তেলের উপর কর নেয় সেটা আপাতত বন্ধ রাখলেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয় না। এর আগে তারা সারের দাম বাড়িয়েছে। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে দেশের কৃষি এবং উৎপাদন খাত ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠবে।
তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছেন। আমরা বলেছি, সংকটের সমাধান করেন। আপনারা সে সংকটের সমাধান না করে- ডান্ডা দিয়ে গুম-খুন করে সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পকেটে ঢুকিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য এবং ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই রাজনৈতিক সংকট যদি টিকে থাকে লুটপাট বাড়বে, দমন পীড়ন বাড়বে, সমাজে নৈরাজ্য হবে, সার্বভৌমত্ব হুমকীর সম্মুখীন হবে। তিনি আরো বলেন, এই সরকার জনগণ যেখানে সুবিধা পেত সেখানে ভর্তুকি প্রত্যাহার করছে। অর্থনীতির মৌলিক জায়গা যেমন, কৃষক-শ্রমিক-পরিবহনের মতো জায়গাগুলো থেকে ভর্তুকি সরকার প্রত্যাহার করছে। ফলে আইএমএফ এর শর্ত দেশকে আরো খারাপের দিকে নেবে। এই সরকার দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে, আইএমএফ-এর দারস্থ করে জনগণের জীবনকে ভয়াবহ একটা বিপদজনক খাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আমরা হতে দিতে পারি না। সরকার দেশকে শ্রীলংকার মতো দেউলিয়াত্বের দিকে নিয়ে যাবে। তার আগেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলিফ দেওয়ানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- গণ সংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নিলু, মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লা, সৈকত মল্লিক এবং ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড প্রমূখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews