‘ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে’

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সংস্কার সংস্কার বলে সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ওই নির্বাচন পর্যন্ত সব সংস্কারের প্রযোজন নেই।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর মিজান ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জনসভার আয়োজন করে ফেনী জেলা বিএনপি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংস্কার শেষে যারা জাতীয় নির্বাচনের কথা বলেন উদ্দেশ্য কী, জাতি তা জানতে চায়। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা যারা চিন্তা করেন তাদের আসলে অনুপাত বোঝে কি না সন্দেহ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখন জাতিসংঘ ঘোষিত খুনি, বিশ্বসভায় তাকে সে উপাধি দিয়ে দিয়েছে।
তাকে এখন দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। অবৈধ সরকারের সময়ে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে। খুনি হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-উপদেষ্টারা গণহত্যা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ তার দায় এড়াতে পারে না।’
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বিচারের পর বলা যাবে আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না। জনগণ সে রায় দেবে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস পলায়নের ইতিহাস। গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে তারা দেশে একদলীয় শাসনেরব্যবস্থা কায়েম করেছে। আমরা জানতাম তাদের তৈরি করা একদলীয় শাসনের পতন হবে কিন্তু আমরা জানতাম না তার জন্য বহু রক্ত দিতে হবে। অনেক রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি সেই একটি স্বৈরাচারমুক্ত স্বাধীন দেশ।’
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি করেন। বলেন, ‘কঠোর হস্তে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে ফ্যাসিস্টদের হাত আছে কি না, খতিয়ে দেখতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার উপদেষ্টা পরিষদে যারা হাসিনার দোসর, তাদের বাদ দিতে হবে। দোসরমুক্ত করে দেশবাসীকে তা প্রমাণ করে দেখাতে হবে। কয়েকজন উপদেষ্টা অনভিজ্ঞতার জন্য ট্যাক্স-ভ্যাট বসিয়ে দিয়েছে। এটি ঠিক করেননি। এসব প্রত্যাহার করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মানুষকে স্বস্তিতে রাখুন।’
ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতি ও যুগ্ম আহবায়ক এয়াকুব নবীর ও আনোয়ার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম- সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম জেলা সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার প্রমুখ।