দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে সরকার : ভিপি নুর

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মশারি মিছিলপূর্ব এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।

দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে সরকার : ভিপি নুর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকার দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।  শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মশারি মিছিলপূর্ব এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, গত পরশু (বৃহস্পতিবার) ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমতের দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাব পাস করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমারা বারবার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। সরকার যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না করে, বিদেশিরা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করে দিতে পারে। নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে।

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা উল্লেখ করে নুর বলেন, ঢাকায়ও মশার ওষুধ কেনার জালিয়াতি করা হয়েছে। ভুয়া কোম্পানি থেকে মশার ওষুধ কিনেছে। এরা বাটপার, প্রতারক, ভুয়া। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন পিষ্ট। এরা জনগণের জন্য কিছু করবে না। এই অবৈধ সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে আমরা একটা একটা করে সব সমস্যার সমাধান করব। সৎ সাহসীদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে গণঅধিকার পরিষদ গণমানুষের জন্য রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, একটা ডাব কিনতে ২০০ টাকা লাগে। সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। জনগণ যে কষ্টে আছে সেটা এই সরকার বুঝবে না। একটা লুটেরা সরকার, ভোট চোর সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। দেশ-বিদেশে সব জায়গায় এই সরকারকে ভোট চোর বলে মানুষ। গত দুইটা নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই আমরা বলছি, এবার অন্তত আল্লারঅস্তে জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগটা দিন। আপনি আগে ক্ষমতা ছাড়ুন, তারপর নির্বাচন দিন। ভোট দিতে চাওয়া তো আমাদের কোনো অপরাধ না।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যায়, অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্লেনে উড়ে সিঙ্গাপুর চিকিৎসার জন্য চলে যান। ঢাকার দুই মেয়র ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, কিন্তু তাদের পদত্যাগ চেয়ে লাভ নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে মেয়র হননি যে, তারা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করবে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, এই আন্দোলন যে কোনো মূল্যে সফল করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাড. নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ( ভারপ্রাপ্ত) তারিকুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মশারি মিছিল শুরু করে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।