ধাক্কা লাগা নিয়ে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের শকুনী লেকের দক্ষিণপাড়ে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই দুইজনকে আটক করেছে।

ধাক্কা লাগা নিয়ে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ

প্রথম নিউজ, মাদারীপুর: মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের শকুনী লেকের দক্ষিণপাড়ে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই দুইজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ইফতারের পর রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য হাউসদি এলাকার সেলিম শিকাদারের ছেলে সিফাত শিকদার (১৫) তার চাচাতো ভাই সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে শকুনী লেকেরপাড়ে ঘুরতে আসেন। এ সময় শহরের ডিসিব্রিজ এলাকার মাহিম (১৬) নামে এক কিশোরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিফাতের।

এ নিয়ে সিফাত ও মাহিমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়ের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের বাসভনের সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তিনজন আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে আটক করে। সংঘর্ষের সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে করে পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলা জামে মসজিদের ভেতর নামাজরত মুসল্লিদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও জামে মসজিদের সামনে পার্কিং করা একটি প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করা হয়।

কয়েকজন মুসল্লি ও স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে অনেকগুলো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় দোষিদের বিচার না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই দোষীদের বিচারের দাবি করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিফাত শিকদার ও অপর অভিযুক্ত মো. মাহিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতলের মেডিকেল অফিসার ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, মারামারির ঘটনায় মাহিম শেখ নামে আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নিয়ে যান।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।