নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার: প্রতিমন্ত্রী
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরুপায় হয়েই সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ শনিবার ঢাকায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।
এদিকে,শুক্রবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়েছে জ্বালানি তেলের নতুন দাম। আগের দামে তেল পেতে পেট্রল পাম্পে হুমড়ি খেয়ে পড়েন মোটরসাইকেল চালকেরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ দফায় দাম বাড়ানোর পর জ্বালানি তেল খাতে সরকারের ভর্তুকি একবারে কমে আসবে। সরকার অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চাপে পড়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আইএমএফের ঋণের শর্তের মধ্যে অন্যতম হলো জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে সেই শর্ত পূরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশে দাম কম থাকায় তেল পাচারের আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের কলকাতায় ডিজেলের দাম প্রতি লিটার বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ টাকা। পেট্রলের দাম ১৩০ টাকা। দেশে দাম কম থাকায় পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো সময়ের দাবি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews