প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বিদ্যালয়ে আগুন!
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উত্তর চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
প্রথম নিউজ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উত্তর চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের সনদ, বইপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের দুটি কক্ষের সবকিছু পুড়ে গেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, আগামীকাল রোববার বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের ভোট। ওই ভোটকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের সঠিক কারণ জানা যায়নি। জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যদুবয়রা ইউনিয়নের মো. তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে মো. সবুজ আলী ও আকাশ রেজার সমর্থক ও নেতাকর্মীদের বিরোধ চলছিল। আকাশ ও সবুজ ভোট বন্ধের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
একপক্ষের নেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষরা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে ভোট বন্ধ করতে এমন ন্যক্কারজনক ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। আগুন নেভাতে সবাই এলেও প্রতিপক্ষের কেউ আসেননি বলে দাবি করেন তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অন্যপক্ষের আকাশ রেজা ও সবুজ আলী বলেন, মসজিদের মাইকে প্রচার শুনে তারা আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তাদের ভাষ্য, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। অথবা তাদের ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ এমন জঘন্য কাজ করতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানকে ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি। নৈশপ্রহরী সোহান মোল্লার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। শৈলকূপা ফায়ার সার্ভিসের ওসি মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও এলাকাবাসী মিলে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানা যাবে। কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, স্কুলে ভোট নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চলছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ফাঁসাতে এ কাজ করতে পারে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে তিনি জানান।
