বাইক চালাতে বারণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’

গতকাল শুক্রবার সাভার পৌরসভার গেণ্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত ৯টার দিকে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মো. হারুন মিয়া।

বাইক চালাতে বারণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
বাইক চালাতে বারণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’

প্রথম নিউজ, সাভার: ঢাকার সাভারে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করায় পরিবারের ওপর অভিমান করে শাহীন (২২) নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সাভার পৌরসভার গেণ্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত ৯টার দিকে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মো. হারুন মিয়া। শাহীন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জার্মিতা ইউনিয়নের চাপরাইল এলাকার কুয়েত প্রবাসী আবুল কাশেমের একমাত্র ছেলে এবং আশুলিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটির স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

শাহীনের কয়েকজন বন্ধু নাম প্রকাশ না করে জানান, ছোটকাল থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ ছিল এবং বাইক চালাতে খুব পছন্দ করত। কিন্তু গত বছরের রোজায় শাহীন ও তাদের আরেক বন্ধু মেহেদী বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে। এতে বাইকের চালক মেহেদী মারা যায়। এর পর থেকেই শাহীনের পরিবার তাকে বাইক চালাতে নিষেধ করে। এ নিয়েই আজ সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শাহীনের মনোমালিন্য হলে অভিমানে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে অনেকক্ষণ ধরে দরজা না খোলায় ভেতরে ঢুকে শাহীনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন মিয়া বলেন, সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করায় পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: