বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন করতে হবে : ডা. তাহের
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এটা অত্যন্ত বিরল যে, বাংলাদেশের এই ভূখণ্ডকে দুইবার অন্যদের আগ্রাসন থেকে স্বাধীন করতে হয়েছে। বাংলাদেশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে যে, তা আবারও স্বাধীন করতে হবে। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. তাহের বলেন, ‘আগের দুটো স্বাধীনতা ছিল ভৌগোলিকভাবে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান থেকে। এবারের স্বাধীনতা হবে জাতির ঘাড়ে চেপে বসা জঞ্জালকে অপসারণের মাধ্যমে ২০ কোটি জনগণকে মুক্ত করা ও সব গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার। ফ্যাসিবাদের কবল থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার।
‘জামায়াতের মতো এত বড় রাজনৈতিক সংগঠন আজকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালনের অনুমতি পাচ্ছে না। এমনকি বিরোধী মতাদর্শের অনুসারী কোনো গোষ্ঠী সত্যিকারভাবে স্বাধীনতার আলোচনা করতে পারছে না। এ থেকেই স্পষ্ট হয় মূলত আজও দেশের জনগণ তার স্বাধীনতা পায়নি।’ তিনি বলেন, ‘সমাজকে পরিপূর্ণভাবে পরিবর্তন করতে হলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের হাতে তুলে দিতে হবে। তা না হলে সত্যিকারভাবে মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না।’ তিনি প্রকৃত স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সব বিরোধী দলকে মতাদর্শের ভিন্নতা সত্ত্বেও ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে—দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, ফরিদ হোসাইন, অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, মাওলানা এস আলম, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন, আব্দুস সালাম, হাফিজুর রহমান, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমদ, ড. মোবারক হোসাইন, সৈয়দ সিরাজুল হক, কামরুল আহসান হাসান, আমিনুল ইসলাম।
‘জনগণের সেবায় নিয়োজিত এসব প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হচ্ছে। জনসমর্থনহীন এই আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আজ ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে।’ তিনি ভোট, ভাত ও কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:






