বাংলাদেশে ঢুকে ভারতীয় নাগরিকের দিনমজুরি, বিজিবির হাতে আটক

বাংলাদেশে ঢুকে ভারতীয় নাগরিকের দিনমজুরি, বিজিবির হাতে আটক

প্রথম নিউজ, অনলাইন: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে দিনমজুরের কাজ করতে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে আটক হয়েছেন শ্রী সতিশ রায় নামে এক ভারতীয় নাগরিক। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে সীমান্ত পিলার থেকে ৩০০ গজ ভেতরে টয়াগছ গ্রামের রমজান আলীর বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
 
বিজিবি-১৮ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সতিশ রায় ১৫-২০ দিন আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মাঝিপাড়া এলাকায় অবস্থান করে দিনমজুরের কাজ করছিলেন।
এর আগেও তিনি একইভাবে বাংলাদেশে ঢুকে কাজ করেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন।
 
আটক সতিশ রায়ের বাড়ি ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার দক্ষিণ ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। তাকে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
 
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, ‘বিজিবি ভারতীয় নাগরিককে থানায় হস্তান্তর করেছে এবং তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
 
এদিকে, অভিযানের সময় রমজান আলীর বাড়িতে সতিশ রায়কে আটক করা সম্ভব হলেও বাড়ির মালিককে পাওয়া যায়নি। 
সীমান্ত নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকানো যায় বলে জানিয়েছে বিজিবি।

কুমিল্লা নগরীতে র‍্যাব পরিচয়ে প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা নিতে এসে দুই জন আটক হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর পিপলস হাসপাতাল থেকে তাদের আটক করা হয়। কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো. সাইফুল ইসলাম রাত ১০টায় কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলো, নগরীর চর্থা এলাকার জয় আহমেদ রুবেল (৩৫) প্রকাশ চশমা রুবেল ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরব আহমেদ রুবেল (৩৫)।
তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।

 
ভুক্তভোগী কাতার প্রবাসী মো. ফারুক জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের অলীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, গত ৫ মার্চ সকাল ৯টার দিকে আমার ছেলের শরীরে গরম ডাল পড়ে ঝলসে যায়। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জেনে রাতেই তিনি কাতার থেকে বাংলাদেশে আসেন। 

৬ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুর ১২টার দিকে তার ছেলেকে কুমিল্লা নগরীর টমছমবীজ পিপলস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ২টার দিকে তার স্ত্রী শিমুল আক্তারের কাছে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে। আহত আরাফাতকে দেখতে এক অভিভাবক আসবেন বলে জানানো হয় ফোনে।