বাঁশের লাঠি’ অথবা ‘ঝাড়ু’ নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিন: গয়েশ্বর
আমরা সরকারকে যেন শক্তিশালী মনে না করি
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ‘বাঁশের লাঠি’ অথবা ‘ঝাড়ু’ নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিতে বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়া মঞ্চের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এই আহবান জানান।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের একটা ‘আনক্লীনড ব্যাম্বো’ নিয়া রাস্তায় দাঁড়াতে হইব। আনক্লীনড বাঁশ। কারণ ক্লীনড বাঁশ বোধহয় যথেষ্ট নয়। এখন আমাদের সেই বাঁশের লাঠি নিয়া আন্দোলন করতে হবে। আমি আশা করি, শেখ হাসিনা(প্রধানমন্ত্রী) মাইন্ড করবেন না। কারণ ৭ই মার্চ তো শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, যার যা আছে লাঠি-বাটি…। যদি তাই না হয় ঝাড়ু দিয়ে নামও। আমাদের এখানে নারী নেত্রী বিলকিস যদি ঝাঁড়ু নিয়া নামেন- এটাই এনাফ। এর বেশি কিছু লাগবে না আমার মনে হয়।
তিনি বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে যেন শক্তিশালী মনে না করি। আমরা শুধু এক সঙ্গে বলতেই হবে- এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি। আজকে সবার ঐক্য দরকার, সবার একমত হওয়া দরকার যে, এই ফ্যাসিবাদে হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করা। গণতন্ত্র উদ্ধার না হলে ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা সব স্বাধীনতাই হরণ হয়। আর যখন বলার পথ রুদ্দ্র হয় তখনই কিন্তু অন্য কিছু আসে যা মানুষ পছন্দ করে না।
দেশের সকল প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে সরকার এবং রাষ্ট্র দুই শব্দ যে আলাদা এই সরকার তা বুঝতে চায় না। আজকে প্রশাসনিক রোলারদের মতো তারা বিচার বিভাগকেও নিয়ন্ত্রণ করছেন, পরিচালিত করছেন। বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ করা বা নিয়ন্ত্রণ করার ন্যুনতম সুযোটা কিন্তু দন্ডনীয় অপরাধ। নৈতিকভাবে কোনো আইনে তারা এটা পারে না। কিন্তু মন্ত্রীরা যখন বক্তব্য দেয়, পরেরদিন যদি কোনো বিচারের জাজমেন্ট হয়- দেখা যায় মন্ত্রীদের কথা হুবহু সেটাতে আছে।তার মানে ওমুক অ্যারেস্ট হবে, অমুকের ফাঁসি হবে, অমুকের জেল হবে, দেখবেন জাজমেন্টটা তেমন হয়। তার মানে কী ? কোনো সাবজুডিস বিষয়ে যখন সরকারের মন্ত্রীরা যদি কথা বলে সেখানে আদালত প্রভাবিত হতে পারে। সাবজুডিস বিষয় কথা বলা নিষিদ্ধ। কিন্ত তারা এটা অনবরত করে যাচ্ছে।
ক্ষমতাসীন সরকার-পুলিশ আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, এক হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন করছে বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও জিয়া মঞ্চের প্রধান আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews
