ভোট বর্জনের আহ্বান অলি আহমদের

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

ভোট বর্জনের আহ্বান অলি আহমদের

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশবাসীর উদ্দেশে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, যারা কিছু টাকা ও ক্ষমতায় লোভে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- এই ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। এই ভোট বর্জন করেন। এই ভোট আপনাদের মঙ্গলের জন্য নয়। এই ভোট আপনাদের ধ্বংস করার জন্য। এই ভোট হলো বাংলাদেশকে বিদেশিদের হাতে বন্ধক দেয়ার ভোট। ইতিমধ্যে এদেশ বন্ধক দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

অলি আহমদ বলেন, আমি জানতে পেরেছি, প্রত্যেকের ঘরে-ঘরে গিয়ে ভয় প্রর্দশন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তোমরা যদি নির্বাচনে না আসো তাহলে ভোটের পর তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভিন্ন গায়েবি মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যারা গরিব মানুষ যারা তাদেরকে বলা হচ্ছে, ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকা করে দেয়া হবে। তাই আবারও ভোটারদেরকে বলবো, ঘরে বসে থাকেন। এই ভোট বর্জন করেন এবং একদলীয় শাসন থেকে দেশকে রক্ষা করেন। 

গত কয়েকটি নির্বাচনে প্রস্তাব পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারও ৬টা গ্রুপ আলাদা-আলাদাভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের সবার একই রকম বক্তব্যে ছিলো যে, আপনাকে আমরা দুইটা আসন থেকে নির্বাচিত করে আনবো। মন্ত্রিত্ব দেয়া হবে। আপনার বাড়ি থেকে আরো কয়েকজনকে নমিনেশন দেয়া হবে। আর নির্বাচনের যতো টাকা লাগে, এই টাকাগুলো আপনাকে দেয়া হবে। আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে বলতে চাই, ১৯৯৫-১৯৯৬ সালেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও মন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলাম। এবারও ২০২৩-২০২৪ সালেও প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু আমি বেইমান না।

কর্নেল অলি বলেন, বর্তমানে যে নির্বাচনটা হচ্ছে, পৃথিবীর সব জায়গা থেকে বলা হয়েছিলো এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকেও আমরা আশা করেছিলাম যে, এটা সবার অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হবে। কিন্তু এটা আওয়ামী লীগের জন্য এই নির্বাচন। একদলীয় শাসক পাকাপোক্ত করার জন্য এই নির্বাচন। এই নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করছেন? তাদের (আওয়ামী লীগ) সমর্থকরা। যাদেরকে তারা টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন। সুতরাং কেনা গোলামদেরকে দিয়ে বিরোধী দল গঠন করা সম্ভব হবে না। দেশের জনগণের কাছে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। 

তিনি আরো বলেন, ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ভাগাভাগি করে বিভিন্ন জনকে সিট দিয়েছে। সুতরাং এই ভাগাভাগির পরে কেউ বলতে পারবে না যে, এটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। এটা হচ্ছে, একটা ভাগাভাগির নির্বাচন।